ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন পন্থ। পুড়ে গিয়েছে তাঁর গাড়ি। ছবি: টুইটার
গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ঋষভ পন্থ। গাড়ি চালানোর সময় ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তিনি। নিজেই জানিয়েছেন সে কথা। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যে, বরাতজোরে বেঁচে গিয়েছেন ভারতীয় উইকেটরক্ষক। মারাও যেতে পারতেন তিনি।
হরিদ্বার গ্রামীণ শাখার এসপি স্বপন কিশোর সিংহ বলেন, “বিরাট জোরে একটা আওয়াজ হয়েছিল দুর্ঘটনার সময়। গ্রামের লোকজন এবং স্থানীয় পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। কাছের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে দেহরাদূনের বড় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।” ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন স্বপন। তিনি বলেন, “পন্থের কপালে চোট লেগেছে। হাতে এবং ডান হাঁটুতে চোট পেয়েছেন। জ্ঞান আছে পন্থের। কথাও বলছেন। গাড়িটি সম্পূর্ণ ভাবে পুড়ে গিয়েছে। বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বরাতজোরে বেঁচে গিয়েছেন পন্থ।”
পন্থ পুলিশকে জানিয়েছেন যে, তিনি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। সেই কারণেই দুর্ঘটনা ঘটে। গাড়িটি একটি ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। আগুন লেগে যায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক পুলিশকর্মী বলেন, “মনে হয় পন্থ ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। কুয়াশা ছিল না ওই জায়গায়। চোখের উপর চোট রয়েছে। হাঁটু এবং পিঠে চোট রয়েছে তাঁর। তদন্তের জন্য গাড়িটি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গাড়ির নিরাপত্তা ব্যবস্থা কাজ করেছিল কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।”
উত্তরাখণ্ড পুলিশের ডিজিপি অশোক কুমার জানিয়েছেন যে, ডিভাইডারে ধাক্কা মারার পর পন্থ বুঝতে পেরেছিলেন বড় দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে। নিজেকে বাঁচাতে তাই গাড়ির উইন্ডস্ক্রিন ভেঙে নিজেকে বার করেন পন্থ। আগুন লেগে গিয়েছিল গাড়িটিতে। দাউ দাউ করে জ্বলতে দেখা যায় গাড়িটিকে। পন্থ গাড়ির মধ্যে থাকলে আরও বড় ঘটনা ঘটে যেতে পারত। নিজের উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে গাড়ি থেকে বেরিয়ে যান বলেই আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট খেলতে গিয়েছিলেন পন্থ। দেশে ফিরে এসেছিলেন সিরিজ় শেষ হওয়ার পর। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সাদা বলের সিরিজ়ে রাখা হয়নি তাঁকে। বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সেই সময়ই দুর্ঘটনাটি ঘটে। একাধিক চোট লাগলেও পন্থ সুস্থ আছেন বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।