শতরানের পর বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। ছবি: পিটিআই।
নিউ জ়িল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল বাংলাদেশ। শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে পাকিস্তান। ২০২৫ সালে হবে এই প্রতিযোগিতার ফাইনাল। প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থানে থাকা দলগুলির মধ্যে হবে সেই ফাইনাল। সব দলেরই এখনও অনেকগুলি করে টেস্ট বাকি। দক্ষিণ আফ্রিকা এখনও কোনও টেস্ট খেলেনি। তাই সব হিসাব পাল্টে যেতে পারে দু’বছর পর।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পয়েন্ট নয় লড়াই হয় পয়েন্ট শতাংশে। অর্থাৎ মোট পয়েন্টের কত শতাংশ একটি দল পাচ্ছে সেটার উপর বিচার করে ঠিক হয় লিগ তালিকা। একটি ম্যাচ জিতলে পাওয়া যায় ১২ পয়েন্ট। ড্র করলে পাওয়া যায় ৪ পয়েন্ট। হারলে কোনও পয়েন্ট নেই। পাকিস্তান এখনও পর্যন্ত দু’টি ম্যাচ খেলেছে। দু’টিই জিতেছে। বাংলাদেশ একটি খেলে একটি জিতেছে। দুই দলেরই ১০০ শতাংশ পয়েন্ট। তাই এক এবং দুই নম্বর স্থানে রয়েছে এই দুই দল। পয়েন্ট বেশি বলে শীর্ষে পাকিস্তান।
ভারত রয়েছে তিন নম্বর স্থানে। দু’টি টেস্ট খেলেছিল তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে। একটি জিতেছিল এবং অন্যটি ড্র হয়েছিল। ভারতের ৬৬.৬৭ শতাংশ পয়েন্ট। চতুর্থ স্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়া ৩০ শতাংশ পয়েন্ট পেয়েছে। পাঁচ ম্যাচের অ্যাশেজ়ে তারা ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দু’টি জিতেছিল, একটি ড্র করেছিল এবং দু’টি হেরেছিল। কিন্তু ১০ পয়েন্ট পেনাল্টি হয় তাদের। ফলে প্রাপ্ত পয়েন্ট থেকে ১০ বিয়োগ হয়ে যায়। অন্য দিকে ইংল্যান্ডের কাটা গিয়েছে ১৯ পয়েন্ট। তারা রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে (১৫ শতাংশ পয়েন্ট)। ওয়েস্ট ইন্ডিজ় রয়েছে পঞ্চম স্থানে (১৬.৬৭ শতাংশ পয়েন্ট)। শ্রীলঙ্কা এবং নিউ জ়িল্যান্ড এখনও পর্যন্ত কোনও পয়েন্ট পায়নি। দক্ষিণ আফ্রিকা এখনও কোনও টেস্ট খেলেনি।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি দল ঘরের মাঠে তিনটি টেস্ট সিরিজ় এবং বিদেশের মাটিতে তিনটি টেস্ট খেলবে। ভারত ইতিমধ্যেই বিদেশের মাটিতে একটি সিরিজ় খেলেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে খেলতে যাবে আগামী মাসে। ঘরের মাঠে তারা খেলবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সে দেশে গিয়ে খেলবেন রোহিত শর্মারা।