বাবর আজ়ম। —ফাইল চিত্র।
এক দিনের বিশ্বকাপ খেলতে না আসার হুঁশিয়ারি দিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিসিআই) চাপে রাখার চেষ্টা করেছিলেন পাকিস্তানের ক্রিকেট কর্তারা। বিশ্বকাপের মাঠ নিয়েও তাঁরা আপত্তির কথা জানিয়েছিলেন আইসিসিকে। অথচ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সেই কর্তারাই বিশ্বকাপ খেলার অনুমতি চেয়েছেন পাক সরকারের কাছে।
বাবর আজ়মদের ভারত সফরের জন্য পাকিস্তান সরকারের অনুমতি প্রয়োজন পিসিবির। অনুমতি না পেলে এক দিনের বিশ্বকাপে খেলতে ভারতে দল পাঠাতে পারবেন না পিসিবি কর্তারা। তাই প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় আহমেদ ছাড়াও পাকিস্তান অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক এবং বিদেশ মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছেন পিসিবি কর্তারা। ভারতের মাটিতে এক দিনের বিশ্বকাপ খেলার প্রয়োজনীয় অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে। গত ২৬ জুন পিসিবি চিঠি পাঠিয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রীর দফতরে। একই দিনে অন্য দুই মন্ত্রককেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠির সঙ্গে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ সূচি দেওয়া হয়েছে। ভারতের কোন কোন শহরে বাবরদের যেতে হবে, তা-ও জানানো হয়েছে। কারণ, ভারতে দল পাঠানোর জন্য পাক সরকারের একাধিক মন্ত্রকের অনুমতি প্রয়োজন। নিয়ম অনুযায়ী ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা-সহ একাধিক বিষয় খতিয়ে দেখার পর ভারত সফরের অনুমতি দেয় পাক সরকার।
পিসিবির এক কর্তা বলেছেন, ‘‘গত মঙ্গলবার বিশ্বকাপের সূচি প্রকাশ হওয়ার পরেই আমরা সরকারকে বিস্তারিত জানিয়ে ভারত সফরের অনুমতি চেয়েছি। আমাদের প্যাট্রন এবং প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফকে চিঠি দিয়েছি আমরা। আন্তঃপ্রাদেশিক সমন্বয় মন্ত্রকের মাধ্যমে চিঠি দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এ ছাড়াও বিদেশ মন্ত্রক, অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রককেও চিঠি দেওয়া হয়েছে।’’ পিসিবির ওই কর্তা আরও বলেছেন, ‘‘ভারত সফর এবং সে দেশের কোন কোন শহরে ক্রিকেটারদের পাঠানো যাবে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার শুধু পাকিস্তান সরকারের রয়েছে। সরকারের উপর আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। সরকারের পরামর্শ আমরা সম্পূর্ণ ভাবে অনুসরণ করব। সরকার যদি আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলতে চায় বা নিরাপত্তা-সহ অন্য ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার জন্য ভারতে কোনও দল পাঠাতে চায়, তা করতেই পারে। সরকার নিয়ম এবং প্রক্রিয়া মেনেই যা করার করবে।’’
শীতল রাজনৈতিক সম্পর্কের জন্য ভারত-পাকিস্তান ২০০৮ সালের পর কোনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ় খেলেনি। বহুদলীয় প্রতিযোগিতা ছাড়া পরস্পর মুখোমুখিও হয় না। এশিয়া কাপের জন্য রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের পাকিস্তানে পাঠাবে না বিসিসিআই। পাল্টা চাপ তৈরি করতে এক দিনের বিশ্বকাপেও দল না পাঠানোর কথা বলেছিলেন পিসিবি কর্তারা।