পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সদর দফতর। —ফাইল চিত্র।
মেলবোর্ন টেস্টে হারের ক্ষোভ মিটছে না পাকিস্তানের। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে মহম্মদ রিজ়ওয়ানের বিতর্কিত আউট। যা এখনও মেনে নিতে পারছে না পাকিস্তান। কোচ মহম্মদ হাফিজ় শুক্রবারই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। এ বার আইসিসি-র দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের।
ক্রিকেটে প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে খুশি হতে পারছে না পাকিস্তান। তাদের মতে খেলার সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে অতিরিক্ত প্রযুক্তির ব্যবহারে। এক দিনের বিশ্বকাপের একটি ম্যাচেও পাকিস্তান প্রযুক্তি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান জাকা আশরফ কোচ হাফিজ়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ বার পাক বোর্ড আইসিসি-কে জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসের ৬১তম ওভারে এই ঘটনা ঘটেছে। কামিন্সের বাউন্সার সরে গিয়ে ‘ডাক’ করেছিলেন রিজওয়ান। বল সোজা উইকেটকিপারের হাতে জমা পড়ে। কিন্তু রিজওয়ানের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সামান্য একটি আওয়াজ হয়। অস্ট্রেলিয়া আম্পায়ারের কাছে ক্যাচের আবেদন করলেও তা নাকচ হয়ে যায়। এর পরেই কামিন্স ডিআরএস নেন।
তৃতীয় আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ কয়েক মিনিট ধরে সেই মুহূর্তটি দেখেন। বিভিন্ন কোণ থেকে পরীক্ষা করেন। হটস্পট এবং স্নিকোমিটারের সাহায্য নেন। তার পরেই অন-ফিল্ড আম্পায়ারকে বলেন সিদ্ধান্ত বদলে রিজওয়ানকে আউট দিতে। তিনি বলেন, “একটা হালকা খোঁচা শুনতে পেয়েছি যে বলটা রিস্টব্যান্ডে লেগেছে। রিস্টব্যান্ড যে হেতু হাতের সঙ্গে যুক্ত, তাই আপনার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে আউট দিন।”
তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অবাক হয়ে যান রিজওয়ান। তিনি মাঠে থাকা আম্পায়ারদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু লাভ না হওয়ায় মাথা নাড়তে নাড়তে সাজঘরে ফেরেন। ম্যাচের পর হাফিজ় বলেছেন, ‘‘এ ধরনের প্রযুক্তি ক্রিকেটের জন্য অভিশাপ।’’
বিশ্বকাপে পাকিস্তান বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে প্রশ্ন উঠেছিল একটি রিভিউ নিয়ে। সেই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের ৪৬তম ওভারের শেষ বলের একটি ঘটনার প্রভাব পড়ে ছিল ম্যাচের ফলাফলে। বল করছিলেন পাকিস্তানের হ্যারিস রউফ। ব্যাট করছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার তাবরেজ শামসি। রউফের বল শামসির প্যাডে লাগে। মাঠের আম্পায়ার আউট দেননি। রিভিউ নেন তৎকালীন অধিনায়ক বাবর আজ়ম। সেখানে দেখা যায় বল লেগ স্টাম্পে লাগতে পারত। কিন্তু বেশির ভাগটা বাইরে ছিল। তাই নিয়ম অনুযায়ী মাঠের আম্পায়ারের দেওয়া সিদ্ধান্ত বহাল রাখতে হয় তৃতীয় আম্পায়ারকে। তাই নিয়েই উঠেছিল প্রশ্ন।