কেকেআরের রিঙ্কু সিংহকে আউট করে উল্লাস পঞ্জাব কিংসের ক্রিকেটারদের। ছবি: রয়টার্স।
অতি বড় পঞ্জাব সমর্থকও ভাবেননি এটা হতে পারে। ১১১ রান করে তাঁরা জিতবেন তা হয়তো ভাবেননি পঞ্জাব কিংসের অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ারও। কিন্তু সেটাই হয়েছে। আইপিএলে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে জেতা ম্যাচ হেরেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ১১২ রান তাড়া করতে গিয়ে ১৬ রানে হেরেছে তারা। পঞ্জাবের ঘরের মাঠে লজ্জার হার হয়েছে অজিঙ্ক রাহানেদের। তবে এ বারই প্রথম নয়। দু’বছরের পঞ্জাবের কাছে দুই লজ্জার হার হয়েছে কলকাতার।
সর্বনিম্ন রান বাঁচিয়ে জয়—
আইপিএলের ইতিহাসে এটিই সর্বনিম্ন রান বাঁচিয়ে জয়। এর আগে কোনও দল ১১১ রান করে ম্যাচ জিততে পারেনি। রান তাড়া করতে নেমে একটা সময় ২ উইকেটে ৬২ রান ছিল কেকেআরের। সেখান থেকে ৯৫ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছে তারা। একটি স্পেলে ৪ উইকেট নিয়েছেন পঞ্জাবের স্পিনার যুজবেন্দ্র চহল।
এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চেন্নাই। ২০০৯ সালে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ১১৬ রান করে ২৪ রানে জিতেছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনিরা। ২০১৮ সালে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ১১৮ রান করে ৩১ রানে জিতেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ২০০৯ সালে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধেই ১১৯ রান করে তিন রানে জিতেছিল পঞ্জাব। ২০১৩ সালে পুণে ওয়ারিয়র্সের বিরুদ্ধে ১১৯ রান করে ১১ রানে জিতেছিল হায়দরাবাদ। সেই সব জয়কে পিছনে ফেলে দিয়েছে পঞ্জাব।
সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়—
আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জিতেছে পঞ্জাব। সেটিও কেকেআরের বিরুদ্ধে। গত মরসুমে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে কেকেআর প্রথমে ব্যাট করে ২৬২ রান করেছিল। সেই রানও বাঁচাতে পারেনি তারা। জনি বেয়ারস্টোর শতরান এবং প্রভসিমরন সিংহ ও শশাঙ্ক সিংহের অর্ধশতরানে ৮ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতেছিল পঞ্জাব। অর্থাৎ, সর্বোচ্চ থেকে সর্বনিম্ন, দু’টি ক্ষেত্রেই কেকেআরকে হারিয়েছে পঞ্জাব।
তবে এই দুই ম্যাচে একটিই তফাত রয়েছে। গত বার কেকেআরের অধিনায়ক হিসাবে লজ্জার হার হয়েছিল শ্রেয়সের। আর এ বার সেই শ্রেয়সই পঞ্জাবের অধিনায়ক হিসাবে কলকাতাকে হারিয়েছে।