বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। —ফাইল চিত্র।
দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ ক্রিকেটে। মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সদর দফতরে হানা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। তিন সদস্যের একটি দল সেখানে তল্লাশি চালিয়ে অনেক নথি বাজেয়াপ্ত করেছে বলে জানিয়েছে ক্রিকেট ওয়েবসাইট ‘ক্রিকবাজ়’।
সহকারী ডিরেক্টর আল আমিনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সদর দফতরে যায়। বিভিন্ন দফতরে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালান আধিকারিকেরা। তার পরে সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁরা জানিয়েছেন, তিনটি অভিযোগের ভিত্তিতে এই তল্লাশি চালানো হয়েছে। তল্লাশির সময় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চিফ এগ্জ়িকিউটিভ নিজাম উদ্দিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, তদন্তকারীদের সব রকম সাহায্য করা হবে।
কী সেই তিন অভিযোগ?
দুর্নীতি দমন কমিশন একটি বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে লেখা, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অধীনে থাকা বিভিন্ন লিগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে টিকিট বিক্রি থেকে দুর্নীতি ও মুজিবের শতবর্ষ উদ্যাপন অনুষ্ঠানে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এই তিনটি অভিযোগই খতিয়ে দেখছে তারা। অনেক নথি তারা পেয়েছে। কিন্তু এখনই এই বিষয়ে বেশি কিছু বলতে চাইছেন না আধিকারিকেরা। আরও তদন্ত চলবে।
প্রায় এক দশক পরে বাংলাদেশে তৃতীয় ডিভিশনের লিগ চলছে। শেষ বার ২০১৪-১৫ সালে এই প্রতিযোগিতা হয়েছিল। তার আগের বছর প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দলগুলিতে ৭৫ হাজার বাংলাদেশি টাকা দিতে হত। ২০১৪-১৫ সালে তা বেড়ে হয় ৫ লক্ষ বাংলাদেশি টাকা। যদিও এই বছর তা কমিয়ে ১ লক্ষ বাংলাদেশি টাকা করা হয়েছে। ৬০টি দল অংশ নিয়েছে প্রতিযোগিতায়। তাদের আরও অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছে। সেখানেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে টিকিট বিক্রি থেকে গত বছর ১৩ কোটি ২৫ লক্ষ বাংলাদেশি টাকা রোজগার হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। অথচ তার আগের আট বছরে টিকিট বিক্রি থেকে মোট আয় হয়েছিল ১৫ কোটি বাংলাদেশি টাকা। তা হলে কেন হঠাৎ এই বছর এত আয় হল? তা খতিয়ে দেখছে কমিশন।
২০২০-২১ সালে মুজিব শতরর্ষ উদ্যাপন হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানের জন্য ২৫ কোটি বাংলাদেশি টাকা খরচ হয়েছে বলে দেখানো হয়েছিল। কিন্তু আসলে ৭ কোটি বাংলাদেশি টাকা খরচ হয়েছিল বলে অভিযোগ। তা হলে বাকি ১৮ কোটি কোথায় গেল? এই তিনটি অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন।