টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। —ফাইল চিত্র।
আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। শুক্রবার সেই বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল পাপুয়া নিউগিনি। এই নিয়ে মোট ১৫টি দল বিশ্বকাপে নিজেদের জায়গা পাকা করে ফেলল। ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মোট ২০টি দল খেলবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ় এবং আমেরিকার মাঠে ম্যাচগুলি হবে।
বিশ্বকাপে এখনও পাঁচটি দলের যোগ্যতা অর্জন করা বাকি আছে। এর মধ্যে একটি দল আমেরিকার যোগ্যতা অর্জন পর্ব থেকে উঠবে। বাকি চারটি জায়গায় আসবে এশিয়া এবং আফ্রিকার দু’টি করে দল। আমেরিকার যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচগুলি হবে বারমুডায়। এশিয়ার ম্যাচগুলি হবে নেপালে এবং আফ্রিকার ম্যাচগুলি নামিবিয়াতে।
ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, নিউ জ়িল্যান্ড, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টির ক্রমতালিকায় প্রথম দশে থাকায় সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ় এবং আমেরিকা বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ হিসাবে খেলার সুযোগ পাচ্ছে। আয়ারল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ড যোগ্যতা অর্জন করেছে। এ বার সেই তালিকায় নাম লেখাল পাপুয়া নিউগিনি।
পূর্ব এশিয়া-প্যাসিফিকের যোগ্যতা অর্জন পর্ব থেকে শুধু পাপুয়া নিউগিনিই খেলবে এই বিশ্বকাপে। শুক্রবার ফিলিপিন্সের বিরুদ্ধে ১০০ রানে জিতেছে নিউগিনি। সেই জয়ের পরেই বিশ্বকাপে তাদের জায়গা পাকা হয়ে যায়। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ২২৯ রান তোলে নিউগিনি। টনি উরা (৬১), অধিনায়ক আসাদ ভালা (৫৯) এবং চার্লস আমিনির (৫৩) দাপটে বড় রান তোলে তারা। সেই রান তাড়া করতে নেমে ফিলিপিন্স প্রথম থেকেই উইকেট হারায় ফিলিপিন্স। যদিও অলআউট হয়নি তারা। ২০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান তোলে ফিলিপিন্স।
পূর্ব এশিয়া-প্যাসিফিকের যোগ্যতা অর্জন পর্বে খেলছে চারটি দল। পাপুয়া নিউগিনি এবং ফিলিপিন্স ছাড়াও রয়েছে জাপান এবং ভানুয়াতু। এখনও পর্যন্ত প্রতিটি দল পাঁচটি করে ম্যাচ খেলেছে। একে অপরের বিরুদ্ধে দু’টি করে ম্যাচ খেলার কথা তাদের। নিউগিনির ম্যাচ বাকি জাপানের বিরুদ্ধে এবং ফিলিপিন্স তাদের শেষ ম্যাচ খেলবে ভানুয়াতুর বিরুদ্ধে। কিন্তু সেই দু’টি ম্যাচের আগেই যোগ্যতা অর্জন করে ফেলল নিউগিনি। পাঁচটি ম্যাচের সব ক’টিই জিতেছে তারা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা জাপানের থেকে তারা চার পয়েন্ট এগিয়ে। ফলে শেষ ম্যাচে জাপানের বিরুদ্ধে হারলেও যোগ্যতা অর্জন করতে কোনও অসুবিধা হবে না নিউগিনির।