রোহিত শর্মা এবং বাবর আজম। — ফাইল চিত্র
এশিয়া কাপ খেলতে ‘হাইব্রিড মডেল’-এ রাজি হওয়ার জন্যে ভারতীয় বোর্ডকে ধন্যবাদ জানিয়েছে পাকিস্তান। তবে বিশ্বকাপ খেলতে তারা ভারতে আসবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। পাকিস্তান বোর্ড জানিয়েছে, তাদের ইচ্ছের উপর কিছুই নির্ভর করছে না। যদি পাকিস্তান সরকার ছাড়পত্র দেয় তবেই তারা ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে যেতে পারবে।
বিশ্বকাপের সূচি চূড়ান্ত করার আগে প্রতিটি দেশকেই খসড়া সূচি পাঠিয়েছে আইসিসি। তার পরেই আইসিসিকে চিঠি লিখে নিজেদের অপারগতার কথা জানিয়েছে পাক বোর্ড। সে সম্পর্কে শুক্রবার চেয়ারম্যান নাজম শেট্টি সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা আইসিসিকে চিঠি লিখে জানিয়েছি, বিশ্বকাপের সূচির ব্যাপারে সম্মতি বা অসম্মতি দিতে পারব না। সরকারকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ভারত এ দেশে আসতে চাইলে যেমন ওদের দেশের সরকারের অনুমতি দরকার, তেমনই আমাদের সরকার ঠিক করবে ভারতে খেলতে যাব কি না।”
শেট্টি আরও বলেন, “আমদাবাদে খেলতে রাজি কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাই আমাদের নেই। সময় এলে এটা জানতে পারবেন যে আমরা যাচ্ছি কি না। তার পরে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে কোথায় আমরা খেলব। বিশ্বকাপে আমাদের অংশগ্রহণ এই দু’টি গুরুত্বপূর্ণ শর্তের উপরে নির্ভর করছে।”
প্রসঙ্গত, একাধিক সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী আগামী ১৫ অক্টোবর ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হওয়ার কথা রয়েছে আমদাবাদে। এ ছাড়াও বিশ্বকাপে ভারতের আরও পাঁচটি শহরে খেলবে পাকিস্তান। তার মধ্যে রয়েছে কলকাতাও। তবে পাকিস্তান এখনও সেই নিয়ে সম্মতি জানায়নি।
উল্লেখ্য, ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়ে আগে পিসিবি চেয়ারম্যান বলেন, “আমি আপ্লুত। পাকিস্তান বোর্ডের দেওয়া হাইব্রিড মডেল মেনে নিয়েছে এসিসি। পাকিস্তান বোর্ডই এশিয়া কাপের আয়োজক। পাকিস্তানে ম্যাচ হবে। বাকি ম্যাচ হবে শ্রীলঙ্কায়। নিরপেক্ষ দেশে খেলা হবে কারণ ভারতের পক্ষে পাকিস্তানে এসে খেলা সম্ভব হচ্ছে না। দেশের মানুষ অধীর অপেক্ষায় ছিল ভারতকে পাকিস্তানের মাটিতে খেলতে দেখার জন্য। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অবস্থাটা বুঝতে পারছি। পাকিস্তান বোর্ডের মতো তাদেরও দেশের সরকারের নিয়ম মেনে চলতে হয়।”
এখনও এশিয়া কাপের পুরো সূচি প্রকাশিত হয়নি। দুই দেশের রাজনৈতিক কারণে পাকিস্তান বোর্ড একটি হাইব্রিড মডেলের কথা বলে। সেটাই মেনে নিয়েছে এসিসি। নাজম বলেন, “হাইব্রিড মডেলই সেরা উপায় ছিল এশিয়া কাপ আয়োজন করার। সেই কারণেই আমি এই মডেলের উপর এত জোর দিচ্ছিলাম। এর ফলে আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করা সম্ভব হবে। এসিসি-র সকলে একসঙ্গে কাজ করবে। ভাল ক্রিকেট খেলা হবে।”