চেতন শর্মা। — ফাইল চিত্র
একটি চ্যানেলের স্টিং অপারেশনে ভারতীয় দলের অন্দরের খবর বলে ফেলেছিলেন তিনি। ঘটনা নিয়ে ব্যাপক শোরগোল হওয়ায় পদত্যাগ করেন। বিতর্কিত সেই প্রাক্তন প্রধান নির্বাচক চেতন শর্মার প্রত্যাবর্তন হল বোর্ডে। দলীপ ট্রফিতে উত্তরাঞ্চলের দল বেছে নিলেন তিনি। আগামী ২৮ জুন থেকে প্রতিযোগিতা শুরু। প্রশ্ন উঠছে, আবার কি জাতীয় নির্বাচক হবেন চেতন?
বৃহস্পতিবার উত্তরাঞ্চলের দল নির্বাচন হয়। সেই নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন চেতন। তিনি দল বেছে নেন। উত্তরাঞ্চল দলের অধিনায়ক হিসাবে মনদীপ সিংহকে বেছে নেন তিনি। বাদ দেওয়া হয়েছে যশ ধুলকে। গত বছর ভারত ‘এ’ এবং অবশিষ্ট ভারত দলের হয়ে খেললেও দলীপ ট্রফিতে জায়গা হল না ধুলের। আইপিএলে ভাল খেলা প্রভসিমরন সিংহ, প্রশান্ত চোপড়া, মনন ভোরা এবং সিদ্ধার্থ কৌল দলে জায়গা পেয়েছেন।
তবে দল নির্বাচন নয়, চেতনের প্রত্যাবর্তনই নজর কেড়ে নিয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ‘জ়ি নিউজ’-এর স্টিং অপারেশনে অনেক বিতর্কিত কথা বলেছিলেন চেতন। বিরাট কোহলি এবং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সম্পর্ক নিয়ে তাঁকে একটি ভিডিয়োয় বলতে শোনা গিয়েছিল, “সৌরভ এবং বিরাটের মধ্যে একটা ইগোর লড়াই ছিল। সৌরভ এক সময় ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। বিরাট সেই সময় নেতা ছিলেন। কে বড় তা নিয়ে একটা লড়াই ছিল।”
গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট খেলতে যাওয়ার আগে এক সাংবাদিক বৈঠকে বিরাট বলেছিলেন যে, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নেতৃত্ব ছাড়ার সময় তাঁকে কেউ বাধা দেননি। যদিও তার কিছু দিন আগেই সৌরভ জানিয়েছিলেন, তিনি নিজে বিরাটকে অনুরোধ করেছিলেন নেতৃত্ব না-ছাড়ার জন্য। সেই সময় থেকেই সৌরভ এবং বিরাটের মধ্যেকার ইগোর লড়াই বা সম্পর্কের অবনতি নিয়ে জল্পনা বাড়তে থাকে। যদিও দু’জনের কেউই এই নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি। এই প্রসঙ্গ নিয়েও কথা বলতে শোনা গিয়েছিল চেতনকে। গোপন ক্যামেরায় তোলা যে ভিডিয়ো সামনে এসেছিল সেখানে প্রশ্নকর্তাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “দু’জনের মধ্যে কে সত্যি বলছে?” জবাবে চেতনকে বলতে শোনা গিয়েছে, “সৌরভ নেতৃত্ব না ছাড়ার কথা বিরাটকে বলেছিল।”
তিনি আরও দাবি করেছিলেন, ২০২১-এর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে চোট পুরোপুরি না সারিয়েই খেলেছিলেন বুমরা। তিনি একটি ইঞ্জেকশন নিয়েছিলেন। ছোটখাটো চোটের ক্ষেত্রে খেলোয়াড়রা অনেক সময় এ রকম ইঞ্জেকশন নেন। বুমরা ব্যথা কমিয়ে খেলতে গিয়ে নিজের চোট আরও বাড়িয়ে ফেলেছিলেন। ভিডিয়োয় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘এক জন ক্রিকেটারের উপর প্রতি মুহূর্তে নজরে রাখা সম্ভব নয়। তাই কে ইঞ্জেকশন নিচ্ছে তা প্রমাণ করা সম্ভব নয়।’’ ভিডিয়োয় চেতন আরও দাবি করেছিলেন, ‘‘দেশের অনেক খেলোয়াড়ের মধ্যেই এই রকম প্রবণতা তৈরি হয়েছে। প্রথম সারির অনেক ক্রিকেটারও চোট সম্পূর্ণ না কমিয়ে ব্যথা কমানোর ইঞ্জেকশন নিয়ে খেলছে।’’