অভিষেক টেস্টে কনিষ্ঠতম বোলার হিসাবে ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর রেহান। ছবি: আইসিসি।
অভিষেক টেস্ট ম্যাচেই নজির গড়লেন ইংল্যান্ডের রেহান আহমেদ। কনিষ্ঠতম ক্রিকেটার হিসাবে অভিষেক টেস্টে ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার নজির গড়লেন রেহান। তাঁর বোলিং দাপটে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্টেও জয়ের দরজায় ইংল্যান্ড।
পাক বংশোদ্ভূত তরুণ স্পিনারের বলেই বেসামাল বাবর আজ়মদের ইনিংস। ১৮ বছরের স্পিনারের বলের সামনে ভেঙে পড়ে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসের মিডল অর্ডার। ২১৬ রানেই শেষ হয়ে যায় আয়োজকদের ইনিংস। রেহানের শিকার তালিকায় রয়েছেন পাকিস্তানের বাবর আজ়ম (৫৪), সাউদ শাকিল (৫৩), মহম্মদ রিজ়ওয়ান (৭), আঘা সলমন (২১) এবং মহম্মদ ওয়াসিম (২)। পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৮ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্সের রেকর্ড ভাঙলেন রেহান। কামিন্স অভিষেক টেস্টে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ১৮ বছর ১৯৬ দিন বয়সে। ২০১১ সালের নভেম্বরে জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এই নজির গড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার জোরে বোলার। রেহান নিলেন ১৮ বছর ১২৬ দিন বয়সে।
করাচি টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে রান ২ উইকেটে ১১২। জয়ের জন্য বেন স্টোকসদের প্রয়োজন আরও ৫৫ রান। ওপেনার বেন ডাকেটের সঙ্গে (অপরাজিত ৫০) উইকেট আছেন অধিনায়ক স্টোকস (অপরাজিত ১০)। সাজঘরে ফিরে দিয়েছেন আর এক ওপেনার জ্যাক ক্রলি (৪১) এবং তিন নম্বরে নৈশ প্রহরী হিসাবে ব্যাট করতে নামা রেহান (১০)। সোমবার সফরকারীদের দু’টি উইকেটই নিয়েছেন আবরার আহমেদ। জয়ের জন্য ১৬৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামেন স্টোকরা।
তার আগে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ২১৬ রানে। পাক ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ৭৪.৫ ওভারেই গুটিয়ে যায় বাবরদের ইনিংস। বাবর এবং শাকিল ছাড়া আয়োজকদের কোনও ব্যাটারই তেমন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি। রেহানের ৫ উইকেট ছাড়া ভাল বল করেন জোরে বোলার জ্যাক লিচ। ৭২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। দুই ওপেনার আবদুল্লা শফিক (২৬) এবং শান মাসুদ (২৪) ভরসা দিতে পারেননি দলকে। ব্যর্থ তিন নম্বরে নামা আজহার আলিও (শূন্য)। উল্লেখ্য, দ্বিতীয় দিনের শেষে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসের রান ছিল বিনা উইকেটে ২১।
করাচি টেস্টের বাকি এখনও দু’দিন। ইংল্যান্ডকে জয়ের জন্য তুলতে হবে আর ৫৫ রান। অন্য দিকে বাবরদের দরকার আট উইকেট। প্রথম দু’টি টেস্ট জিতে তিন ম্যাচের সিরিজ় জয় আগেই নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড। এই টেস্টেও সফরকারীদের জয় কার্যত সময়ের অপেক্ষা।