উমরানের মতো গতিশীল বোলার পেয়ে গেল পাকিস্তান। ছবি: টুইটার।
ভারতের দ্রুততম বোলার উমরান মালিককে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন পাক ক্রিকেটার জ়ামান খান। পাক জোরে বোলার প্রশ্ন তুলেছেন জম্মু-কাশ্মীরের তরুণের বলের গতি নিয়ে। তাঁর দাবি, তিনি উমরানের মতো গতিতে বল করেন স্বাভাবিক ভাবে। বাড়তি কিছু চেষ্টা করতে হয় না।
পাকিস্তান সুপার লিগের ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি লাহোর ক্যালান্ডার্সের বোলিং আক্রমণের অন্যতম ভরসা জ়ামান। শাহিন আফ্রিদি এখনও সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়ায় জ়ামানের উপর অনেকটা নির্ভর করছেন লাহোরের কর্তারা। পাকিস্তানের ক্রিকেটে জ়ামান পরিচিত মূলত তাঁর বলের গতির জন্য। তাঁকে উমরানের পাক জবাব বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও জ়ামানের দাবি, বলের গতি তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। ভাল করাই তাঁর লক্ষ্য। ধারাবাহিক ভাবে ১৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে বল করতে পারেন জ়ামান। তিনি বলেছেন, ‘‘বলের গতি নিয়ে প্রশ্ন করলে বলব, এটা আমার কাছে একদমই গুরুত্বপূর্ণ নয়। এটা নিয়ে আমি ভাবি না। আমার চিন্তা পারফরম্যান্স। ভাল পারফরম্যান্সই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমি আমার স্বাভাবিক গতিতেই বল করি। বাড়তি কিছু চেষ্টা করতে হয় না।’’
জ়ামান ২০২২ সালের পিএসএলে নিয়েছিলেন ১৮টি উইকেট। উমরানের সঙ্গে তুলনা পছন্দ নয় পাক জোরে বোলারের। ভারতের তরুণ জোরে বোলারের সঙ্গে গতির লড়াইয়েও নামতে ইচ্ছুক নন তিনি। জ়ামান অবশ্য উমরানের নাম উচ্চারণ করেননি। তাঁকে একটি সাক্ষাৎকারে উমরানের বলের গতির সঙ্গে তাঁর বলের গতির তুলনা করে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে এ কথা বলেছেন ২১ বছরের ক্রিকেটার। এখনও দেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ হয়নি জ়ামানের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সুযোগ পাওয়ার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।
গত বছর আইপিএলে নজর কাড়া বোলিং করার পর ভারতীয় দলে সুযোগ পান উমরান। এখনও পর্যন্ত দেশের হয়ে আটটি করে এক দিনের এবং টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। উইকেট নিয়েছেন যথাক্রমে ১৩টি এবং ১১টি। উমরানের বলের গতি নিয়ে শুধু ভারতীয় ক্রিকেটেই আলোচনা হচ্ছে না। গোটা ক্রিকেট বিশ্বেই চর্চা চলছে। বিভিন্ন দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটারদের একাংশ উমরানের বলের গতি দেখে মুগ্ধ। অনেকেই তাঁকে পরামর্শ দিয়েছেন, শুধু গতির উপর নির্ভর করে বেশি দিন সাফল্য পাওয়া সম্ভব নয়। বলে বৈচিত্র আনতে হবে।