জুটি: সেঞ্চুরি ইমাম (বাঁঁ-দিক) ও বাবরের। বৃহস্পতিবার। পিটিআই
রান তাড়া করার নজির গড়ল পাকিস্তান। এই প্রথম ৩৪৯ রান তাড়া করে জিতল বাবর আজ়মের দল। যা পাক ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ। বৃহস্পতিবার লাহোরে অ্যারন ফিঞ্চের অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সিরিজ়ে সমতা ফেরাল পাকিস্তান। নেপথ্যে ইমাম-উল-হক ও বাবর আজ়মের সেঞ্চুরি। ৯৭ বলে ১০৬ রান করেন ইমাম। ৮৩ বলে ১১৪ রান বাবরের।
বৃহস্পতিবার টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন বাবর। শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে শূন্য রানে ফিঞ্চ ফিরে যাওয়ার পরে হাল ধরেন ট্র্যাভিস হেড ও বেন ম্যাকডার্মট। ১৬২ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। ৭০ বলে ৮৯ রান করেন হেড। ১০৮ বলে ১০৪ রান ম্যাকডার্মটের। মার্নাস লাবুশেন (৫৯) ও মার্কাস স্টোয়নিসের (৪৯) ইনিংস আট উইকেটে ৩৪৮ রানে পৌঁছে দেয় অস্ট্রেলিয়াকে।
প্রায় সাড়ে তিনশো রানের কাছে অস্ট্রেলিয়া পৌঁছে যাওয়ার পরে পাকিস্তানের জয়ের আশা কেউই করেননি। লাহোরের স্টেডিয়ামও ফাঁকা হয়ে যেতে শুরু করছিল। কিন্তু পাক ওপেনিং জুটির আচরণই বুঝিয়ে দেয়, এই ম্যাচ তারা জিততে এসেছে। ১১৮ রানের জুটি গড়েন ফখর জ়ামান ও ইমাম। ৬৪ বলে ৬৭ রান করে ফখর ফিরে যান। সেই জায়গা থেকে পাকিস্তানকে জয়ের রাস্তায় এগিয়ে দিতে থাকেন ইমাম ও বাবর। ১১১ রান যোগ করে এই জুটি। ইমাম ফিরে যাওয়ার পরে বাবরের সঙ্গী হন মহম্মদ রিজ়ওয়ান। তাঁর সঙ্গেও ৮০ রানের জুটি গড়েন বাবর। তাঁর ফিরে যাওয়ার পরে ২৩ রান করে আউট হন রিজ়ওয়ানও। এক ওভার বাকি থাকতেই পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করেন খুশদিল শাহ (২৭) ও ইফতিখার আহমেদ (১১)।
ম্যাচের সেরা বেছে নেওয়া হয় অধিনায়ক বাবরকেই। ম্যাচ শেষে বলেন, ‘‘ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে ব্যাট করতে চেয়েছি। চেষ্টা করেছি বড় জুটি গড়ার। এত বড় রান তাড়া করার ক্ষেত্রে বড় জুটি গড়া খুবই জরুরি। সেটা করতে পেরে খুবই ভাল লাগছে।’’ যোগ করেন, ‘‘ইমাম, ফখর, রিজ়ওয়ানের অবদানও ভোলার নয়।’’ শনিবার লাহোরে সিরিজ়ের শেষ ম্যাচ। সেই ম্যাচ জিতে সিরিজ় কারা দখল করে সেটাই দেখার।