১৯৮৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে আক্রমের। —ফাইল চিত্র
ওয়াসিম আক্রমের সুইংয়ের দাপটে তাঁকে ভয় পেতেন বিশ্বের সেরা ব্যাটাররাও। কিন্তু তাঁকে দিয়ে এক সময় চাকরের মতো কাজ করাতেন তাঁর সতীর্থ সেলিম মালিক। এমনটাই অভিযোগ করেছেন খোদ আক্রম।
১৯৮৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে আক্রমের। সম্প্রতি আত্মজীবনীতে আক্রম অভিযোগ করেছেন যে, তাঁকে দিয়ে সেলিম চাকরের মতো কাজ করাতেন। আক্রম লেখেন, “তখন জুনিয়র ছিলাম। সেটার সুযোগ নিত সেলিম। প্রচণ্ড নেতিবাচক ও। স্বার্থপর একটা মানুষ। আমাকে দিয়ে চাকরের মতো কাজ করাত। শরীর দলাইমলাই করাত, আমাকে দিয়ে জুতো পরিষ্কার করানো, কাপড় কাচার কাজ করাত।”
আক্রম যখন পাকিস্তান দলে সুযোগ পান, তখন সেলিম ছিলেন দলের সিনিয়র সদস্য। ১৯৯২ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত অধিনায়ক হয়েছিলেন সেলিম। আক্রম লেখেন, “দলের তরুণ সদস্যরা যেমন রামিজ় রাজা, তাহির, মহসিন, শোয়েব মহম্মদরা আমাকে নাইটক্লাবে নিয়ে যেতে চাইত, তখন আমি রেগে যেতাম।”
আক্রমের এই সব অভিযোগ যদিও অস্বীকার করেছেন সেলিম। তাঁর মতে বই বিক্রি করার জন্য এই সব লিখেছেন আক্রম। সেলিম বলেন, “আমি আক্রমকে ফোন করেছিলাম। কিন্তু ও ফোন ধরেনি। আমি জানতে চাই কেন ও এ রকম লিখল। আমি যদি খারাপ মানসিকতার হতাম, তা হলে ওকে দিয়ে বলই করাতাম না। আমি জিজ্ঞেস করব কেন ও আমার সম্পর্কে এগুলো লিখেছে।”
আক্রমের আত্মজীবনীতেই প্রথম জানা যায় তাঁর কোকেন নেওয়ার কথা। আক্রম হঠাৎই জানালেন, একটা সময় নিয়মিত মাদকসেবন করতেন তিনি। আকৃষ্ট হয়ে গিয়েছিলেন কোকেনের প্রতি। শেষ পর্যন্ত প্রয়াত স্ত্রী হুমার সাহায্যে তিনি মাদকসেবন করা ছেড়ে দেন। আক্রমের মুখে এ কথা শুনে স্তম্ভিত ক্রিকেটবিশ্ব। পরে আক্রম এমন অভিযোগও করেন যে, তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে নেশামুক্তি কেন্দ্রে রেখে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।