শাহিদ আফ্রিদি। ফাইল চিত্র
ফের বিতর্কে পাকিস্তান ক্রিকেট। প্রকাশ্যে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়লেন দুই ক্রিকেটার। এক জন দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদি। অন্য জন দীর্ঘ দিন জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়া আহমেদ শাহজাদ। দুই ক্রিকেটারকে সামলাতে মধ্যস্থতা করতে হয় সঞ্চালককে। এক সময় পাকিস্তান ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ বলা হত শাহজাদকে। দলের অধিনায়কও হয়েছিলেন। কিন্তু ধারাবাহিকতার অভাবে অধিনায়কত্ব যায়। দল থেকে বাদ পড়েন। ২০১৯ সালের পর থেকে আর জাতীয় দলে সুযোগ পাননি। সেই শাহজাদ পাকিস্তানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলের বিতর্কসভায় এসেছিলেন। সেখানে ছিলেন আফ্রিদিও। বিতর্ক চলাকালীন ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা।
অনুষ্ঠান চলাকালীন আফ্রিদি জানান, তিনি শাহজাদকে খুব পছন্দ করতেন। তাঁর কারণেই হয়তো দল থেকে বাদ পড়েছেন ডান হাতি ওপেনার। আফ্রিদি বলেন, ‘‘আমার জন্য ওকে অনেকে পছন্দ করত না। আমি ওকে অনেক সুযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই সুযোগ ও কাজে লাগাতে পারেনি। অনেকে ভেবেছিল পছন্দের ক্রিকেটার বলেই ওকে এত বেশি সুযোগ দিয়েছি। সেটা ঠিক নয়। শাহজাদ ভাল খেলত। তাই ওকে সুযোগ দিয়েছিলাম।’’
আফ্রিদির এই মন্তব্য ভাল ভাবে নেননি শাহজাদ। তিনি বলে ওঠেন, ‘‘তোমাকে আমি নিজের দাদার মতো মনে করি। তুমি যা ইচ্ছা বলতে পারো। কিন্তু কখনও কখনও এই কথাগুলো খুব কষ্ট দেয়।’’ শাহজাদের এই কথার পাল্টা আফ্রিদি বলেন, ‘‘রান না করলে তোমাকে কেন দলে নেওয়া হবে। সুযোগ পেতে গেলে ভাল খেলতে হবে।’’
এই কথায় আরও বেশি রেগে যান শাহজাদ। বলে ওঠেন, ‘‘আমি রান করতে চাই। তার জন্য আমাকে তো সুযোগ দিতে হবে। কোথায় রান করব? বাড়িতে? আগে দলে সুযোগ দিক। তার পরে দেখাব রান করতে পারি কি না।’’ পরিস্থিতি উত্তপ্ত হচ্ছে দেখে অনুষ্ঠানের সঞ্চালক হস্তক্ষেপ করেন। দু’জনকেই শান্ত হওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।
প্রকাশ্যে বিবাদে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা পাকিস্তান ক্রিকেটে নতুন নয়। গত বছর প্রাক্তন ক্রিকেটার শোয়েব আখতার প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে সঞ্চালক নৌমান নিয়াজের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন আখতার। পরে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হয়েছিল নৌমানকে।