সতীর্থদের প্রশংসায় বাবর। ফাইল ছবি।
নিজে প্রথম ইনিংসে শতরান করে আশা জিইয়ে রেখেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও করেছেন অর্ধশতরান। কিন্তু শ্রীলঙ্কাকে প্রথম টেস্টে ৪ উইকেটে হারানোর পর বাবর আজম সব কৃতিত্ব দিলেন ওপেনার আবদুল্লা শফিক এবং দলের নিচের দিকের ব্যাটারদের।
পাকিস্তান অধিনায়ক মনে করেন, দ্বিতীয় ইনিংসে আবদুল্লা ১৬০ রানের অপরাজিত ইনিংস না খেললে তাঁরা জিততে পারতেন না। ম্যাচের শেষ দিন জয়ের জন্য পাকিস্তানের দরকার ছিল ১২০ রান। অন্য দিকে শ্রীলঙ্কার দরকার ছিল ৭ উইকেট। শেষ পর্ষন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৪৪ রান তুলল পাকিস্তান। বাবর একই সঙ্গে জানিয়েছেন, প্রথম ইনিংসে দলের বোলাররা ব্যাট হাতে তাঁকে সঙ্গ না দিলে আগেই ল়ড়াই থেকে ছিটকে যেতেন তাঁরা। প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানে ৭ উইকেট পড়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের। সেখান থেকে তারা ২১৮ রান তোলে।
গলের স্পিন সহায়ক উইকেটে পঞ্চম দিনে ব্যাট করা সহজ ছিল না। লক্ষ্য কম থাকলেও ঝুঁকি নিতে চাননি পাক ব্যাটাররা। ওপেনার আবদুল্লা ২২ গজের এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাঁকে আউট-ই করতে পারলেন না শ্রীলঙ্কার বোলাররা। ৮ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট উইকেটে ছিলেন আবদুল্লা। ৭টি চার এবং ১টি ছয়ের সাহায্যে তাঁর ১৬০ রানের ইনিংসই পাকিস্তানকে জয়ের দরজায় পৌঁছে দেয়।
দুই টেস্টের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যেতে পেরে খুশি পাক অধিনায়ক। সতীর্থদের কৃতিত্ব দিয়ে বাবর বলেছেন, ‘‘প্রথম ইনিংসে আমরা ভালই বল করেছি। ব্যাট হাতেও বোলাররা আমাকে দারুণ সাহায্য করেছে। আলাদা করে নাসিম শাহর কথা বলতেই হবে। আমরা জানি, কী ভাবে স্পিন খেলতে হয়। নিজেদের দক্ষতার উপর আস্থা ছিল আমাদের।’’ ম্যাচের পর পাক অধিনায়কের মুখে শোনা গিয়েছে ২২ বছরের ওপেনারের প্রশংসা। আবদুল্লার ইনিংস নিয়ে বাবর বলেছেন, ‘‘আবদুল্লার সঙ্গে আমি দ্বিতীয় ইনিংসে একটা জুটি তৈরির চেষ্টা করেছিলাম। ওর বয়স কম। তাও চাপের মুখে নিজের দক্ষতা মেলে ধরেছে। এমন ব্যাটিং দেখতেও ভাল লাগে।’’ অনবদ্য ইনিংসের জন্য ম্যাচের সেরা হয়েছেন আবদুল্লা।
শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে আগামী রবিবার। কলম্বোয় দ্বিতীয় টেস্ট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং গণবিক্ষোভের কারণে কলম্বোর পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ। ক্রিকেটারদের নিরপত্তার জন্য দ্বিতীয় টেস্টও গলে সরিয়ে আনা হয়েছে।