পাকিস্তানের তৈয়ব তাহির এবং মুবাসির খান। ছবি: টুইটার।
ভারত এ দলের বিরুদ্ধে ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে ৩৫২ রান তুলল পাকিস্তান এ। শতরান করলেন তৈয়ব তাহির। ১০৮ রান করলেন তিনি। ভারত এ দলের বোলারেরা রান আটকাতে ব্যর্থ।
রবিবার ফাইনালের শুরু থেকেই পাকিস্তানের ব্যাটারেরা মারমুখী মেজাজে ছিলেন। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে যে পাকিস্তানকে ২০৫ রানের মধ্যে অলআউট করে দিয়েছিলেন ভারতীয় বোলারেরা, সেই ব্যাটারেরাই এই ম্যাচে বদলার মেজাজে ছিলেন। দুই ওপেনার সৈয়ম আয়ুব এবং সাহিবজ়াদা ফারহান মিলে ১২১ রান তোলেন। মাত্র ১৭ ওভারে এই রান তুলে নেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার। সেই জুটি ভাঙেন মানব সুতার। ভারতের বাঁহাতি অলরাউন্ডারের বল নিচু হয়ে আসে। সেই বলে কাট মারতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দেন সৈয়ম (৫৯)। সাহিবজ়াদাও এর পর বেশি ক্ষণ সময় ক্রিজে টিকতে পারেননি। ৬২ বলে ৬৫ রান করে রান আউট হয়ে যান তিনি।
ভারতকে এর পর ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছিলেন রিয়ান পরাগ। পর পর দু’বলে তিনি তুলে নেন ওমাইর ইউসুফ এবং কাশিম আক্রমকে। ৩৫ রান করা ইউসুফের ক্যাচ নিজেই নেন রিয়ান। সেই ক্যাচটি ঠিক ভাবে নেওয়া হয়েছে কি না সেই বিষয়ে নিজেই নিশ্চিত ছিলেন তিনি। তৃতীয় আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত দিলে পাকিস্তানের ব্যাটারের মতো অবাক হয়ে যায় ভারতও। পরের বলেই মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ তুলে দেন আক্রম। অধিনায়ক মহম্মদ হ্যারিসও বেশি ক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি। তিনি মাত্র দু’রান করেন। ১৮৭ রানে পাকিস্তানের পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করছিল ভারত।
পাকিস্তান যখন কিছুটা বিপদে পড়ে গিয়েছে, সেই সময় দলের হাল ধরেন তৈয়ব এবং মুবাসির খান। তাঁরা ১৮৬ রানের জুটি গড়েন। ঝোড়ো ইনিংস খেলে ভারতীয় বোলারদের চাপে ফেলে দেন তাঁরা। তৈয়ব ৭১ বলে ১০৮ রান করেন। মুবাসির করেন ৩৫ রান। তাঁদের দু’জনকেই আউট করেন রাজবর্ধন হাঙ্গারগেকর। ৬ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন ভারতীয় পেসার। একটি করে উইকেট নেন হর্ষিত রানা, সুতার এবং নিশান্ত সিন্ধু। পাকিস্তানের ইনিংস শেষ হয় ৩৫২ রানে। ম্যাচ জিততে হলে ভারতীয় ব্যাটারদের বড় ভূমিকা নিতে হবে।