আহমেদ শেহজাদ। ফাইল ছবি।
পাকিস্তান ক্রিকেটে আবার অশান্তির আবহ। মারাত্মক অভিযোগ করলেন আহমেদ শেহজাদ। তাঁর অভিযোগ, বাবর আজমদের মতো জাতীয় দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা চান না তরুণরা সাফল্য পাক। নতুন ক্রিকেটাররা আন্তর্জাতিক মঞ্চে সাফল্যে পেলে সিনিয়রদের হিংসা হয়।
পাকিস্তান ক্রিকেটে প্রায়শই বিতর্ক তৈরি হয়। এ বার বিতর্কের আগুনে ঘি দিলেন শেহজাদ। তাঁর অভিযোগের তির জাতীয় দলের সিনিয়র সদস্যদের বিরুদ্ধে। দীর্ঘ দিন ধরেই জাতীয় দলের বাইরে রয়েছেন তিনি। ২০১৬ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন কোচ ওয়াকার ইউনিস না কি তাঁকে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার পরামর্শ দেন।
জাতীয় দলের একতা নিয়ে ভারতের উদাহরণ দিয়েছেন শেহজাদ। তিনি বলেছেন, ‘‘ভারতের দিকে তাকান। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি এবং বিরাট কোহলী— দু’জনেই বড় ক্রিকেটার। কিন্তু ওরা সব সময় পরস্পরের পাশে থাকে। এক জনের সাফল্য অন্য জন উপভোগ করে। আমাদের দলের পরিবেশ তেমন নয়। নিজেদের দলের খেলোয়াড়দের সাফল্যই সহ্য করতে পারে না অনেকে। সিনিয়ররা তো বটেই, অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটারও চায় না, তরুণরা আন্তর্জাতিক পর্যায় সফল হোক। ওদের বোধ হয় কারও কারও সাফল্য ঠিক হজম হয় না।’’
তিনি আরও বলেছেন, ‘‘কোহলীর কথা বললে বিষয়টা আরও পরিষ্কার হবে। প্রায় দু’বছর ধরে ও ছন্দে নেই। অথচ আমাকে মাত্র দু’টো ম্যাচের ব্যর্থতাতেই দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। আমাকে বলা হয়েছিল ফৈজলাবাদের একটি প্রতিযোগিতায় ভাল পারফরম্যান্স করতে হবে। প্রতিযোগিতায় আমিই সর্বোচ্চ রান করেছি। তাও আমাকে সুযোগ দেওয়া হয়নি।’’
জাতীয় দলের প্রাক্তন কোচ ইউনিসের বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে শেহজাদের। পাক ব্যাটার বলেছেন, ‘‘আমি নিজে দেখিনি। কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা আমাকে বলেছিলেন বিষয়টা। ওয়াকার না কি আমার বিরুদ্ধে রিপোর্ট দিয়েছিলেন। আমার মতে, এগুলো সামনা সামনি আলোচনা হওয়াই ভাল। যে কোনও চ্যালেঞ্জ নিতে আমি প্রস্তুত। তা হলেই বোঝা যাবে কে ঠিক আর কে ভুল।’’ ক্ষোভ প্রকাশ করে ওপেনিং ব্যাটার আরও বলেছেন, ‘‘হয়তো আমার অনেক বেশি কিছু বলা উচিত ছিল। হতে পারে বিষয়টা নিয়ে আমার অনেক দূর যাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সে সব কিছুই করিনি। মুখ বন্ধ রেখেছিলাম। কারণ, নিজের সম্মান রাখতে চাই। ওদের মতো নীচে নামতে পারব না। কিন্তু ওদের জন্যই আমার ক্রিকেট জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাকে বলার কোনও সুযোগই দেওয়া হয়নি।’’
শেহজাদ ক্ষুব্ধ জাতীয় দলের একাধিক সতীর্থকে নিয়েও। বলেছেন, ‘‘উমরান আকমলের সঙ্গে আমার নাম জুড়ে দিয়েছিল দলেরই কয়েক জন সদস্য। পরিকল্পনা করেই আমার সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বলা হত।’’