অভিমন্যু ঈশ্বরণ। —ফাইল চিত্র।
গত মরসুমে রঞ্জি ট্রফিতে বাংলার সবচেয়ে চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছিল ওপেনিং জুটি। তার আগের মরসুমেও অভিমন্যু ঈশ্বরণের সঙ্গী খুঁজতে অসুবিধা হয়েছিল বাংলার। এ বারে সেই অসুখ সারাতে অভিজ্ঞ সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের উপর ভরসা রাখছে দল।
বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরায় চলে গিয়েছিলেন সুদীপ। ৩২ বছর বয়স তাঁর। এই মরসুমে বাংলায় ফিরেছেন। রঞ্জিতে অভিমন্যুর সঙ্গে জুটি গড়বেন তিনি। লক্ষ্মী বললেন, “সুদীপের অভিজ্ঞতা রয়েছে। ও ওপেন করবে। অভিমন্যুর সঙ্গে বাঁহাতি-ডানহাতি জুটি তৈরি করা যাবে। সেই সঙ্গে শুভম দে রয়েছে দলে। ও তৃতীয় ওপেনার।”
বাংলার শেষ তিনটি মরসুমে বার বার সমস্যার জায়গা হিসাবে দেখা গিয়েছে ওপেনিং জুটিকে। গত মরসুমে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল তরুণ সৌরভ পালকে। পাঁচটি ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। মোট সংগ্রহ ১৮৮ রান। একটি মাত্র অর্ধশতরান। প্রথম ম্যাচে ৯৬ রান করে নজর কেড়েছিলেন। কিন্তু ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেননি। এ বারে সৌরভকে প্রথম দু’টি ম্যাচে দলে রাখা হয়নি।
সৌরভের সঙ্গে গত মরসুমে অভিষেক হয়েছিল শ্রেয়াংস ঘোষের। পাঁচটি ম্যাচ খেলানো হয়েছিল তাঁকে। সর্বোচ্চ ৪১ রান। পাঁচটি ম্যাচে মোট সংগ্রহ ১২৬ রান। তাঁকেও এ বারের দলে রাখা হয়নি। সৌরভ এবং শ্রেয়াংশকে প্রথম পাঁচটি ম্যাচে খেলানো হয়েছিল। সেই সময় অভিমন্যুকে পাওয়া যায়নি। তিনি ভারত এ দলের হয়ে খেলতে ব্যস্ত ছিলেন। ফিরেছিলেন রঞ্জির গ্রুপ পর্বের ষষ্ঠ ম্যাচে। খেলেছিলেন দু’টি ম্যাচ। তাতেই ৩৩৭ রান করে বাংলার হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় তৃতীয় স্থানে শেষ করেন তিনি। গত মরসুমে অভিমন্যু ফেরার পর তাঁর সঙ্গে জুটি বাঁধেন রণজ্যোৎ খয়রা এবং হাবিব গান্ধী। তাঁরা কেউই রান করতে পারেননি।
এই মরসুমেও অভিমন্যুকে হয়তো পুরো মরসুমে পাওয়া যাবে না। আশা করা হচ্ছে নিউ জ়িল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া সিরিজ়ে ভারতীয় দলে ডাক পেতে পারেন তিনি। তবে প্রথম ম্যাচ খেলবেন। অভিমন্যুর সঙ্গী হিসাবে এই মরসুমে থাকছেন সুদীপ। বাঁহাতি এই ব্যাটার বাংলার হয়ে খেলছেন ২০১০ থেকে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলছেন ২০১২ থেকে। ৭৭টি ম্যাচ খেলেছেন। তবে অভিজ্ঞ সুদীপকে বেশির ভাগ সময় খেলতে দেখা যেত তিন নম্বরে। ত্রিপুরার হয়েও মিডল অর্ডারেই খেলতেন তিনি। এখন বাংলার হয়ে তিন নম্বরে ব্যাট করেন সুদীপ ঘরামি। ত্রিপুরা ছেড়ে বাংলায় ফিরে তাই সুদীপ চট্টোপাধ্যায় খেলবেন ওপেনার হিসাবে। বাংলা ভরসা রাখছে তাঁর অভিজ্ঞতার উপর।