রবিনসনের এই উচ্ছ্বাসই সমালোচনার মুখে। ছবি: টুইটার
অ্যাশেজের প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন উসমান খোয়াজাকে আউট করার পর চিৎকার করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন অলি রবিনসন। খোয়াজার উদ্দেশে কিছু বলতেও শোনা গিয়েছিল তাঁকে। অনেকেই মনে করছেন, বাছা বাছা শব্দ প্রয়োগ করেছিলেন ইংরেজ পেসার। রবিনসনের সেই আচরণের সমালোচনা করলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটাররা। পাল্টা জবাব দিলেন ইংরেজ পেসারও। সাফ জানালেন, এ ধরনের ম্যাচে একটু-আধটু নাটক না হলে জমে না।
খোয়াজাকে আউট করার আগে অন্য ধরনের ফিল্ডিং সাজাতে দেখা গিয়েছিল ইংল্যান্ডকে। আগে টেস্ট ক্রিকেটে যা খুব বেশি দেখা যায়নি। কিন্তু ফিল্ডিং অনুযায়ী বল না করে সরাসরি ইয়র্কারে খোয়াজার স্টাম্প উড়িয়ে দেন রবিনসন। তার পরেই আগ্রাসী উচ্ছ্বাস করেন। সেই নিয়ে প্রাক্তন অজি অধিনায়ক অ্যালান বর্ডার বলেছেন, “আমি নিজে বহু বার আউট হওয়ার পর চিৎকার শুনেছি এবং দিয়েওছি। জানি ওই সময়ে উত্তেজনার মুহূর্তে অনেক কিছু ঘটে যায়। রবিনসন এমনিতে ভাল ছেলে। জোরে বোলার বলে স্বাভাবিক ভাবেই উত্তেজনা একটু বেশি। সংবাদমাধ্যম এটা নিয়ে একটু বেশি মাতামাতি করবে। কিন্তু রবিনসনকে মনে রাখতে হবে, যা যায় তা ফিরেও আসে। ও যখন ব্যাট করতে নামবে তখনও এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। অস্ট্রেলিয়া কিন্তু এত সহজে ঘটনাটা ভুলে যাবে না।”
আর এক অজি অধিনায়ক ইয়ান হিলির মন্তব্য, “উত্তেজনার মুহূর্তে অনেক কিছুই ঘটে যায়। কিন্তু ও রকম উচ্ছ্বাসের জন্যে রবিনসনের শাস্তি পাওয়া উচিত ছিল। যদি খোয়াজা পাল্টা ওকে কিছু বলত, তা হলে সমস্যায় পড়ে যেত। ও জোর করে উত্তেজনা তৈরি করার চেষ্টা করেছিল।”
ম্যাচের পর রবিনসন পাল্টা দিয়েছেন। বলেছেন, “প্রথম বার ঘরের মাঠে অ্যাশেজ খেলছি। খুব বড় একটা উইকেট পেয়েছিলাম। কারণ তার আগে খোয়াজা অবিশ্বাস্য খেলছিল। তবে ও রকম উচ্ছ্বাসের জন্যে কোনও আক্ষেপ নেই। আমরা তো সবাই খেলায় একটু নাটক দেখতে চাই, তাই না? তাই আমিই সেই মুহূর্তটা উপহার দিলাম। কী ভাবে লোকজন সেটা দেখছে সেটা নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। বছরের পর বছর ধরে আমাদের এটা সহ্য করতে হয়েছে। এগুলো যদি কোনও ব্যাটার সামলাতে না পারে, তা হলে কী সামলাবে?”
অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার অ্যালেক্স ক্যারে জানিয়েছেন, ইংরেজ ক্রিকেটারদের আচরণের পাল্টা একটি শব্দও বলেননি খোয়াজা। তাঁর কথায়, “উসমান একটা কথাও বলেনি। অ্যাশেজের মতো ম্যাচ মাঝে সাঝে উত্তেজনাময় এবং ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে। তার মধ্যেও উসমান নিজের মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল।”