সৌরভ-বিতর্কে কথা বললেন অরুণ ধুমল। ছবি পিটিআই
বিসিসিআইয়ের সভাপতি পদে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিদায় নিশ্চিত। আগামী ১৮ অক্টোবর নতুন আধিকারিক বেছে নেওয়া হবে, যেখানে বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার রজার বিন্নীকে সভাপতি হিসাবে দেখা যেতে চলেছে। তবে সৌরভের চলে যাওয়াকে অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না। মনে করছেন, প্রাক্তন অধিনায়ককে অসম্মান করা হল। বিতর্কের মাঝেই মুখ খুললেন বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমল। জানালেন, বোর্ডের বৈঠকে সৌরভের বিপক্ষে কোনও কথাই বলা হয়নি।
সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ধুমল বলেছেন, “ভারত স্বাধীন হওয়ার পর কোনও বোর্ড সভাপতিই তিন বছরের বেশি থাকেননি। কিছু সদস্য দাদার বিরোধী ছিলেন, এমন ধরনের যে কথা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন। কেউ ওঁর বিরুদ্ধে কথা বলেনি। যে ভাবে গত তিন বছরে কোভিডের সময়েও উনি বোর্ডের হয়ে কাজ করে গিয়েছেন, তাতে প্রত্যেকে অত্যন্ত খুশি এবং তৃপ্ত। অধিনায়ক হিসাবে দাদা ভারতের অন্যতম সেরা নেতা ছিলেন। প্রশাসক হিসাবেও গোটা দলকে নিয়ে কাজ করে গিয়েছেন।”
সৌরভের বিদায়ের পিছনে যে কোনও রাজনীতি রয়েছে, সেটাও মানতে চাননি ধুমল। বলেছেন, “এই দাবির কোনও সত্যতা নেই। আমরা গণতান্ত্রিক দেশ। তাই অনেকের অনেক রকম মত থাকতে পারে। তবে বিসিসিআইয়ের একমাত্র লক্ষ্য হল, কী ভাবে ভারতীয় ক্রিকেটকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। সেটাই আমরা করি।”
দাদা থাকলে যে তিনি কোনও মতেই আইপিএল চেয়ারম্যান হতে পারতেন না, সেটাও স্বীকার করেছেন ধুমল। বলেছেন, “যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছে, তাদের সঙ্গেই ছিল দাদা। সব কিছু ওঁকে জানিয়েই করা হয়েছে। ওঁকে আইপিএলের চেয়ারম্যান করার কথা বলা হয়েছিল। না হলে রজারের কোনও সুযোগই ছিল না। বিশ্বকাপজয়ী বলেই রজারকে সভাপতি করার কথা ভাবা হয়েছে। দাদা আইপিএল চেয়ারম্যান হতে রাজি হলে আমি কমিটিতে থাকতাম না। তাতে আমার কোনও সমস্যাও হত না। তবে পরের বছরের বিশ্বকাপের কথা ভেবে বলতে পারি, রজার সভাপতি হলে খুবই ভাল হবে।”