জিতে উচ্ছ্বাস নিউজিল্যান্ডের। ছবি টুইটার
পেশাদার ক্রিকেটে বদলার কথা ক্রিকেটাররা প্রকাশ্যে বলেন না। কেন উইলিয়ামসনের মতো ক্রিকেটের সত্যিকারের দূত তো এ সব কখনোই বলেন না। কিন্তু মাত্র দুই বছর আগে একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের কাছে হার এখনও টাটকা নিউজিল্যান্ডবাসীর মনে। সেই হারের মধুর প্রতিশোধ নেওয়া হয়ে গেল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।
দুই বছর আগে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে একদিনের ক্রিকেটের বিশ্বকাপ জিতেছিল ইংল্যান্ড। তবে সে এমনই জয় যে, ইংরেজদের যদি জিজ্ঞাসা করা হয়, কত ব্যবধানে জিতেছেন আপনারা, জীবনেও তার উত্তর দিতে পারবেন না। কারণ টাই হয়ে যাওয়া ফাইনালে ইংল্যান্ড জিতেছিল বেশি বাউন্ডারি মারার জন্য। ওরকম ভাবে হারতে হওয়ার দু’ বছরের মাথায় তাই নিউজিল্যান্ডের বদলা নেওয়াটা একটু বেশিই মধুর।
সে বারও নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক উইলিয়ামসন টস জিতেছিলেন। কিন্তু নিজেরা প্রথমে ব্যাট করেন। ৫০ ওভারে নিউজিল্যান্ড ৮ উইকেটে ২৪১ রান তোলে। হেনরি নিকোলস ৭৭ বলে ৫৫ রান করেন। টম লাথাম ৫৬ বলে ৪৭ রান করেন। ইংল্যান্ডের লিয়াম প্লাঙকেট এবং ক্রিস ওকস তিনটি করে উইকেট নেন।
জবাবে ইংল্যান্ড ৫০ ওভারে ২৪১ রানে অল আউট হয়ে যায়। বেন স্টোকস ৯৮ বলে ৮৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। জস বাটলার ৬০ বলে ৫৯ রান করেন। লকি ফার্গুসন ও জিমি নিশাম ৩টি করে উইকেট নেন।
ম্যাচ টাই হয়ে গেলে সুপার ওভারে খেলা গড়ায়। সেখানেও টাই হয়। দু’ দলই ১৫ রান করে।
নিয়ম অনুযায়ী মূল ম্যাচ ও সুপার ওভার মিলিয়ে বাউন্ডারির সংখ্যা বিচার করা হয় এরপর। তাতে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথম বারের জন্য একদিনের ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড।
ওরকম একটা হারের মধুর বদলা নিয়েই ফেলল নিউজিল্যান্ড। এখন অপেক্ষা প্রথম বার বিশ্বজয়ের স্বাদ পাওয়ার।