বাঁ দিকে বাবা জন মিচেল, ডান দিকে ছেলে ড্যারিল মিচেল ফাইল চিত্র।
রাগবি বিশ্বকাপে দেশকে কোচিং করানো জন মিচেল গ্যালারিতে বসে দেখলেন কী ভাবে ছেলের ব্যাটে ভর করে টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল নিউজিল্যান্ড। আর ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিতে গিয়ে সেই বাবার কথাই উঠে এল নিউজিল্যান্ডের ওপেনার ড্যারিল মিচেলের গলায়। সেই সঙ্গে সতীর্থদের প্রশংসাও শোনা গেল তাঁর মুখে।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার নিতে গিয়ে মিচেল বলেন, ‘‘অর্ধেক পৃথিবী ঘুরে বাবা খেলা দেখতে এসেছেন। তাঁর সামনে এই জয় সত্যি খুব মিষ্টি।’’ তবে ম্যাচ জিততে যে তাঁদের যথেষ্ট পরিকল্পনা করতে হয়েছে সে কথাও জানান তিনি। মিচেল বলেন, ‘‘রান তাড়া করা কঠিন ছিল। উইকেটে পড়ে অনেক বল ধীরে আসছিল। যে ভাবে ডেভন কনওয়ে মাঝের ওভারে ও শেষ দিকে জিমি নিশাম ব্যাট করেছে তাতে আমাদের সুবিধা হয়েছে। আমরা জানতাম, একটা বা দু’টো বড় ওভার পেলেই খেলা ঘুরে যাবে। তাই শেষ পর্যন্ত খেলা নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম।’’ ম্যাচ শেষ অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনও প্রশংসা করলেন মিচেলের ব্যাটিংয়ের।
ইংল্যান্ডের করা ১৬৬ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটার মার্টিন গাপ্টিল ও কেন উইলিয়ামসনের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। তার পরেও বুদ্ধি করে খেললেন মিচেল ও কনওয়ে। মাঝের ওভারে ৮২ রানের পার্টনারশিপ গড়েন তাঁরা। কনওয়ে আউট হওয়ার পরে ঝোড়ো ব্যাট করেন নিশাম।
এক দিকে স্তম্ভের মতো দাঁড়িয়ে ছিলেন মিচেল। নিশাম আউট হওয়ার পরে পুরো দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিলেন। ইংল্যান্ডের অন্যতম সেরা বোলার ক্রিস ওকসকে এক ওভারে দু’টো বিশাল ছক্কা মারেন। শেষ পর্যন্ত ৪৭ বলে ৭২ করে অপরাজিত থাকেন ম্যাচের সেরা মিচেল।