জিমি নিশাম। ফাইল ছবি
ইংল্যান্ডকে হারানোর পর ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিয়ে গেলেন ড্যারিল মিচেল। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অসাধারণ খেলে। কিন্তু বুধবার নিউজিল্যান্ডের জয়ের আসল দাবিদার যদি কেউ থেকে থাকেন, তা হলে সেটা নিঃসন্দেহে জেমস ‘জিমি’ নিশাম। রান তাড়া করতে নেমে প্রবল বিপদে পড়ে যাওয়া নিউজিল্যান্ডকে একার হাতে ম্যাচে ফেরালেন, যার শেষটা করে এলেন মিচেল।
১৬তম ওভারের প্রথম বলে যখন গ্লেন ফিলিপস ফিরলেন, তখন নিউজিল্যান্ডের জিততে ৬০ রানের মতো বাকি। হাতে মাত্র ২৯ বল। অর্থাৎ প্রতি বলে দু’রানের বেশি চাই। ওপেনার মিচেল উইকেটে রয়েছেন, কিন্তু সঙ্গী না থাকায় কিছুতেই হাত খুলে মারতে পারছেন না। তাঁকে সেই ভরসাটা দিলেন নিশামই। ক্রিস জর্ডানের ১৭তম ওভারে এল ২৩ রান। ম্যাচ ঘুরে গেল ওখানেই। তার মধ্যে নিশাম একাই নেন ১৯ রান, যাতে রয়েছে দুটি ছক্কা এবং একটি চার।
পরের ওভারের দ্বিতীয় বলেই উড়িয়ে দিলেন রশিদকে। সেই ওভারে রশিদের বলে মিস হিট করে অইন মর্গ্যানের হাতে দিয়ে তিনি যখন ফিরলেন, তখন নামের পাশে লেখা ১১ বলে ২৭ রান। সেই মুহূর্তে এর থেকে ভাল অবদান সম্ভব ছিল না। সব থেকে বড় ব্যাপার, মাথার উপর থেকে চাপ কমে যাওয়ায় আত্মবিশ্বাস ফিরে পেলেন মিচেলও। বাকি কাজটা তিনিই করে এলেন।
নিউজিল্যান্ড দলে নিশাম পরিচিত তাঁর অলরাউন্ড দক্ষতার জন্য। ব্যাটে, বলে, ফিল্ডিংয়ে — তিন বিভাগেই তিনি সমান পারদর্শী। বুধবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও একটি উইকেট নিয়েছেন। এর আগে ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচে হার্দিক পাণ্ড্যের একটি শট উড়ে গিয়ে বাউন্ডারির ধারে অসাধারণ বাঁচিয়েছিলেন। এ ছাড়াও তিনি পরিচিত শেষ দিকে নেমে মারকুটে ব্যাটিংয়ের জন্য। বুধবার চাপে পড়ে যাওয়া নিউজিল্যান্ডকে কেউ যদি বাঁচাতে পারত, তা হলে সেটা ছিলেন নিশামই। নিজের দায়িত্ব দুর্দান্ত ভাবে পালন করলেন।
শুধু মাঠেই নয়, মাঠের বাইরেও যথেষ্ট জনপ্রিয় নিশাম। টুইটারে তিনি খুবই সক্রিয়। মাঝে মাঝেই মজার মজার পোস্ট, রিটুইট করতে দেখা যায় তাঁকে। সমর্থকদের সঙ্গেও তিনি বার্তা চালাচালি করেন নিয়মিত। ছাড়েন না উচিত কথা বলতেও। কোনও কিছু পছন্দ না হলে বা অন্যায় হতে দেখলেই সোচ্চার হন। কিন্তু মাঠের ভিতরে মাথা অসম্ভব ঠান্ডা। নিজের দায়িত্ব পালন করতে জুড়ি নেই। বুধবারের আবু ধাবি সেটাই দেখল। কৃতিত্ব বাকিরা পেলেও নিউজিল্যান্ডের নীরব নায়ক নিশামই।