(বাঁদিকে) ঋষভ পন্থ এবং অজাজ পটেল। —ফাইল চিত্র।
ভারত-নিউ জ়িল্যান্ড টেস্ট সিরিজ়ে নজর কেড়েছেন অজাজ পটেল। নিউ জ়িল্যান্ডের ভারতীয় বংশোদ্ভুত স্পিনারকে মুম্বইয়ের ২২ গজে সামলাতে পারেননি ভারতীয় ব্যাটারেরা। ব্যতিক্রম শুধু ঋষভ পন্থ। ভারতের উইকেটরক্ষক-ব্যাটারের সঙ্গে লড়াই উপভোগ করেছেন কিউয়ি স্পিনার। জানিয়েছেন, পন্থ তাঁকে বার বার পরিকল্পনা বদল করতে বাধ্য করেছেন।
ভারতের মাটিতে নিউ জ়িল্যান্ডের ঐতিহাসিক জয়ের অন্যতম কারিগর অজাজ। মুম্বইয়ে ১১ উইকেট নিয়ে ভারতীয় ব্যাটারদের সমস্যায় ফেলা স্পিনার এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘মুম্বইয়ে আমার আর পন্থের মধ্যে দারুণ লড়াই হয়েছে। যখন পন্থ রান নেওয়ার চেষ্টা করেছে, তখনই আমি দ্রুত গতিতে সাধারণ বল করার চেষ্টা করেছি। পন্থকে ব্যাট ফুটে পাঠানোর চেষ্টা করেছি। তার পর আবার বলের গতি কমাতেও হয়েছে। তাতেও পিচ ভাল ব্যবহার করেছে। ফলে আমাকে বার বার পরিকল্পনা বদল করতে হয়েছে পন্থকে বল করার সময়।’’
পন্থের ব্যাটিংয়ের ভক্ত হয়ে গিয়েছেন অজাজ। তাঁর পর্যবেক্ষণ বেঙ্গালুরু, পুণে এবং মুম্বইয়ের পিচের চরিত্র আলাদা ছিল। তবু পন্থ তিনটি জায়গাতেই পিচের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পেরেছিলেন। কিউয়ি বোলার বলেছেন, ‘‘বোলার হোন বা ব্যাটার, আপনাকে ভাবতেই হবে কী ভাবে খেলাটা শুরু করবেন। ব্যাটার এবং বোলারের মধ্যে লড়াই হবেই। আমাদের মধ্যেও অনেকটা ইঁদুর এবং বিড়ালের মতো লড়াই হয়েছে। আমরা পরস্পরের পরিকল্পনা বুঝতে পারছিলাম কিছু ক্ষেত্রে। তাও বলব পন্থ দারুণ ভাবে পিচ কাজে লাগিয়েছে। যে পিচে যে ভাবে খেলা উচিত, সে ভাবে খেলেছে। তিনটে টেস্টেই ও সকলের থেকে আলাদা ভাবে ব্যাট করেছে।’’ অজাজ আরও বলেছেন, ‘‘বেঙ্গালুরুতে ও মারার বলের জন্য অপেক্ষা করছিল। সময় নিচ্ছিল। পুণেতে মিচেল স্যান্টনারকে খুব সাবধানে খেলছিল পন্থ। আমার ওভারের জন্য অপেক্ষা করছিল। আমার বল দ্বিতীয় টেস্টে খুব একটা ঘুরছিল না। আমার ওভারগুলোয় রান করার চেষ্টা করছিল। আবার মুম্বইয়ে আমার পরিকল্পনা বুঝে নিজের মতো করে সুবিধা আদায় করে নেওয়ার চেষ্টা করছিল। পন্থ নিঃসন্দেহে দুর্দান্ত ক্রিকেটার। দারুণ ব্যাটার। পরিস্থিতি এবং পরিবেশ বুঝে খেলতে পারে। ভাল ফর্মেও ছিল। পন্থের সঙ্গে লড়াইটা সত্যি ভীষণ উপভোগ করেছি।’’
মুম্বইয়ে ৫৭ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেলে পন্থ ভারতের জয়ের আশা তৈরি করেছিলেন। কিন্তু অজাজই তাঁকে আউট করেন। পন্থের আউট নিয়ে অসন্তোষ গোপন করেনি ভারতীয় শিবির। পন্থ আউট হওয়ার পর ম্যাচ বাঁচাতে পারেনি ভারত।