শ্রেয়স আয়ার। —ফাইল চিত্র।
এ বার কি শাস্তি পাবেন শ্রেয়স আয়ারও? ঈশান কিশনের মতোই কি অবস্থা হবে তাঁর? ঈশানের মতোই তিনিও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ‘অবাধ্য’ হতে শুরু করেছেন। বোর্ডের বিপরীত কথা শোনা যাচ্ছে তাঁর মুখে। তাতেই হয়েছে সমস্যা।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম দুই টেস্টের দলে থাকলেও শেষ তিন টেস্টের দল থেকে বাদ পড়েছেন শ্রেয়স। ভারতের কোচ রাহুল দ্রাবিড় আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে এক বার বাদ পড়লে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে কোনও ক্রিকেটারকে আবার জাতীয় দলে জায়গা করতে হবে। সেই কারণে মুম্বইয়ের হয়ে রঞ্জি খেলার কথা ছিল শ্রেয়সের। কিন্তু নাম তুলে নিয়েছেন তিনি।
রঞ্জির কোয়ার্টার ফাইনালে মুম্বইয়ের খেলা বরোদার সঙ্গে। শুক্রবার থেকে সেই খেলা শুরু হওয়ার কথা। শ্রেয়স নাকি মুম্বই ক্রিকেট সংস্থাকে জানিয়েছেন যে তাঁর পিঠে ব্যথা রয়েছে। সেই কারণে খেলবেন না তিনি। শ্রেয়সের এই কথার উল্টো কথা শোনা যাচ্ছে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির স্পোর্টস সায়েন্স ও মেডিসিন বিভাগের প্রধান নিতিন পটেলের কথায়। তিনি জানিয়েছেন, শ্রেয়স সম্পূর্ণ সুস্থ। নতুন করে কোনও চোট লাগেনি তাঁর।
পটেলের কথার পরেই শ্রেয়সের ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব জয় শাহ স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে কেন্দ্রীয় চুক্তির আওতায় থাকা ক্রিকেটারেরা যদি ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে না চান তা হলে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঈশান জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পরে ঝাড়খণ্ডের হয়ে রঞ্জি খেলেননি। তার ফল ভুগতে হতে পারে তাঁকে। কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়তে পারেন তিনি। একই সমস্যায় পড়তে পারেন শ্রেয়সও। বিশেষ করে বোর্ডের মেডিক্যাল দল তাঁকে খেলতে বললেও তিনি যখন খেলেননি তখন বিষয়টি হয়তো ভাল ভাবে নেবে না বোর্ড। এখন দেখার, শ্রেয়সের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় কি না।