আর. অশ্বিন এবং নেথান লায়ন। —ফাইল চিত্র।
তাঁরা দু’জনে পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী। দু’জনের কথা উঠলেই শুরু হয়ে যায় তুলনা। কিন্তু মাঠের বাইরের সেই লড়াইকে দূরে সরিয়ে রেখে অস্ট্রেলিয়ার অফস্পিনার নেথান লায়ন জানিয়ে দিলেন, তিনি কতটা শ্রদ্ধা করেন ভারতীয় অফস্পিনার আর. অশ্বিনকে। শুধু শ্রদ্ধা করাই নয়, অশ্বিনের থেকে অনেক কিছু শিখেছেন বলেও জানিয়েছেন লায়ন।
বৃহস্পতিবার থেকে পার্থে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে অস্ট্রেলিয়া। লায়ন দাঁড়িয়ে আছেন পাঁচশো টেস্ট উইকেটের মুখে। অশ্বিন এবং লায়ন, এই মুহূর্তে বিশ্বের দুই সেরা অফস্পিনার তাঁদের টেস্ট জীবন শুরু করেছিলেন একই বছরে। ২০১১। দু’জনেই পাঁচশো উইকেটের মাইলফলকের সামনে এসে দাঁড়িয়েছেন। লায়নের উইকেট সংখ্যা ৪৯৬, অশ্বিনের ৪৮৯।
গত জুনে অ্যাশেজ সিরিজ়ে খেলার সময় পায়ে চোট পান লায়ন। তার পরে আবার ফিরছেন টেস্ট ক্রিকেটে। তার আগে অশ্বিন নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। লায়ন বুঝিয়ে দিয়েছেন, অশ্বিনকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখার চেয়েও ভারতীয় অফস্পিনারের বোলিং থেকে প্রেরণা খোঁজেন তিনি। অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট ওয়েবসাইটে লায়ন বলেছেন, ‘‘অশ্বিনকে এক বার দেখলেই ওর দক্ষতা বোঝা যায়। ওর ক্রিকেট জীবনের শুরু থেকেই অশ্বিনকে খুব ভাল করে দেখেছি।’’
অশ্বিনের প্রশংসা করে লায়ন বলেছেন, ‘‘আমি ওর থেকে অনেক কিছু শিখেছি। প্রতিপক্ষের থেকেও কিন্তু অনেক কিছু শেখার রাস্তা থাকে। এক দিক দিয়ে দেখতে গেলে অশ্বিন আমার জীবনে খুব বড় কোচ।’’
দুই অফস্পিনারই এখন টেস্টে পাঁচশো উইকেটের মাইলফলকের দিকে এগোচ্ছেন। যেখানে লায়নই সম্ভবত আগে পৌঁছে যাবেন। অশ্বিন পরবর্তী টেস্ট খেলতে নামার আগে তিনটি টেস্ট খেলার সুযোগ পাচ্ছেন অস্ট্রেলীয় অফস্পিনার। লায়নের কথায়, ‘‘অদ্ভুত লাগছে যে আমরা দু’জনেই পাঁচশো উইকেটের মাইলফলকের দিকে এগোচ্ছি। দেখতে হবে, আমরা কোথায় গিয়ে শেষ করি।’’ এর পরে লায়ন বলে যান, ‘‘অবসর নেওয়ার পরে এক দিন হয়তো আমরা এক সঙ্গে বসে জমিয়ে আড্ডা দেব আর আমাদের ক্রিকেট কেরিয়ার নিয়ে আলোচনা করব।’’
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জীবনের শেষ টেস্ট সিরিজ় খেলতে নামছেন ডেভিড ওয়ার্নার। তার আগে বুধবার তিনি সমাজমাধ্যমে একটি বার্তায় কিশোর-কিশোরীদের উদ্দেশে লিখেছেন, ‘‘স্বপ্ন দেখা খুবই প্রয়োজন। আর যে স্বপ্নটা দেখবে, সেটা সফল করার জন্য ঝাঁপাবে। বিশ্বাস করবে, সেই স্বপ্নপূরণ করার ক্ষমতা
তোমাদের আছে।’’