সচিন তেন্ডুলকর। — ফাইল চিত্র।
কিছু দিন আগে ভুয়ো ভিডিয়ো নিয়ে সমাজমাধ্যমে সরব হয়েছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। সেই ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট গেমিং ওয়েবসাইট এবং তাদের ফেসবুক পেজের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল মুম্বই পুলিশ। সেই ওয়েবসাইটে দেখানো হয়েছিল সচিন ওই সংস্থার গেমিং অ্যাপের প্রচার করছেন। তা সত্যি নয় বলে কিছু দিন আগেই জানিয়েছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার।
মুম্বই পুলিশ সূত্রে খবর, ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫০০ (মানহানি) এবং ৬৬এ (আপত্তিকর বার্তা পাঠানো) ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার সচিনের ব্যক্তিগত সহায়ক ওয়েস্ট রিজিয়ন সাইবার থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তার ভিত্তিতেই পুলিশ ব্যবস্থা নিতে চলেছে। আপাতত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। কারা এর পিছনে দায়ী তা চিহ্নিতও করা যায়নি এখনও।
গত ১৫ জানুয়ারি প্রযুক্তির অপব্যবহার নিয়ে সরব হন সচিন। তার আগে মেয়ে সারার সঙ্গে তাঁর একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিয়োয় দেখা যায়, সারা একটি অনলাইম গেম খেলছেন, যার মাধ্যমে রোজগার করা যায়। ভিডিয়োয় সচিনকেও দেখা যায় পিছন দিকে। সেই ভিডিয়োয় তাঁদের মুখে ব্যবহার করা হয় অন্য কারও কণ্ঠস্বর। ভুয়ো ভিডিয়োটি নজর এড়ায়নি সচিনের। এই ঘটনার বিরুদ্ধে সমাজমাধ্যমে তিনি সরব হন। প্রযুক্তির অপব্যবহার নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন সচিন।
প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেন, ‘‘এই ভিডিয়োগুলো ভুয়ো। প্রযুক্তির ব্যাপক অপব্যবহার দেখলে বিরক্ত লাগে। এই ধরনের ভিডিয়ো, বিজ্ঞাপন এবং অ্যাপগুলোর বিরুদ্ধে প্রচুর পরিমাণে রিপোর্ট করার জন্য সবাইকে অনুরোধ করুন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকেও সতর্ক হতে হবে। অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা উচিত তাদের। ভুল তথ্য এবং ডিপফেকস বন্ধ করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো অত্যন্ত দ্রুত পদক্ষেপ করা গুরুত্বপূর্ণ।’’
সচিন তাঁর এই বার্তার সঙ্গে মহারাষ্ট্রের সাইবার ক্রাইম বিভাগকেও যুক্ত করেন। কেন্দ্রীয় সরকারের ইলেকট্রনিক্স এবং আইটি মন্ত্রক, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখরকেও যুক্ত করেন তাঁর বার্তার সঙ্গে। সচিনের বক্তব্য ছিল, এই ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি।
প্রাক্তন ক্রিকেটারের বার্তা ভাইরাল হতে সময় লাগেনি। সে দিনই কঠোর ব্যবস্থার আশ্বাস দেন কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব। সমাজমাধ্যমে দেওয়া উত্তরে বলেন, “এই বার্তার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ সচিন। এআইয়ের মাধ্যমে ডিপফেক এবং ভুল তথ্য ভারতের সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীদের কাছে হুমকির মতো হয়ে যাচ্ছে। তঁদের নিরাপত্তা এবং বিশ্বাসভঙ্গ হচ্ছে। ক্ষতি হচ্ছে। যে প্ল্যাটফর্ম বা সংস্থাগুলো এ সব করছে, তাদের উচিত এ সংক্রান্ত সাম্প্রতিক নির্দেশিকা সম্পূর্ণ ভাবে মেনে চলা। সংস্থাগুলো যাতে নির্দেশিকা মেনে চলে তা নিশ্চিত করতে আইন কঠোর করা হবে।’’