বিগ্নেশ পুথুর। ছবি: বিসিসিআই।
বিগ্নেশ পুথুর। আইপিএলে আত্মপ্রকাশেই নজর কেড়েছেন বিশেষজ্ঞদের। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে জেতাতে না পারলেও চেন্নাই সুপার কিংসের ৩টি উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। মহেন্দ্র সিংহ ধোনিও প্রশংসা করেছেন তরুণ বাঁহাতি লেগ স্পিনারের। অথচ কেরলের তরুণ আদতে জোরে বোলার।
কারসন ঘাউরি, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, বরুণ চক্রবর্তীরা ভারতীয় ক্রিকেটে পরিচিত নাম। ক্রিকেটপ্রেমীরা তাঁদের চেনেন সফল স্পিনার হিসাবে। এ ছাড়া আরও একটি মিল রয়েছে তাঁদের। শুরুতে সকলেই ছিলেন জোরে বোলার। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের পুথুরও নাকি তাই।
কেরলের হয়ে এখনও কোনও ম্যাচ খেলেননি পুথুর। মুম্বই তাঁকে খুঁজে নিয়ে এসেছে আইপিএলে। বড় মঞ্চে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই সফল হয়েছেন কেরলের ২৩ বছরের তরুণ। তাঁর লেগ স্পিন চেন্নাইয়ের ব্যাটারদের অস্বস্তিতে রেখেছিল। তিনিও নাকি ক্রিকেট খেলতে শুরু করেছিলেন জোরে বোলার হিসাবে। পুথুরের বন্ধু মহম্মদ শরিফ একটি টেলিভিশন চ্যানেলে বলেছেন, ‘‘মালাপ্পুরমে পুথুরকে যখন প্রথম দেখেছিলাম, তখন ওর বয়স ছিল ১১ বছর। প্রথমে জোরে বল করত। আমি ওকে লেগ স্পিন করে দেখতে বলেছিলাম। মনে হয়েছিল লেগ স্পিন করলে হয়তো ও বেশি সফল হবে। আসলে আমি নিজে অফ স্পিন বল করতাম। তাই পুথুরকে খানিকটা সাহায্য করতে পেরেছিলাম।’’ শরিফ আরও বলেছেন, ‘‘পুথুর ছোট থেকে খুব পরিশ্রম করতে পারে। পরিশ্রম করে খুব দ্রুত লেগ স্পিন আয়ত্ত করে ফেলে। তখন ওকে ক্রিকেট প্রশিক্ষণকেন্দ্রে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিই। ওর বাবা-মাকেও বলেছিলাম। তার পর দু’তিন বছর আমরা এক জায়গাতেই খেলা শিখেছিলাম।’’
বাঁহাতি পুথুরকে লেগ স্পিন করার পরামর্শ দিলেও শরিফ জানতেন না এই ধরনের বোলারদের চায়নাম্যান বলে। তিনি বলেছেন, ‘‘তখন এত কিছু জানতাম না। আমি স্পিন বল করতাম বলে ওকেও স্পিন বল করার কথা বলেছিলাম। অস্ট্রেলিয়ার ব্র্যাগ হগ ছাড়া পুথুরের মতো আর কোনও বোলারের কথা আমার জানা নেই। ও সম্ভবত ভারতের এক মাত্র প্রকৃত চায়নাম্যান বোলার।’’
চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে পুথুরকে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নামিয়েছিল মুম্বই। ৪ ওভার বল করে ৩২ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি। আউট করেছিলেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়, শিবম দুবে এবং দীপক হুডাকে। চেন্নাইয়ের মিডল অর্ডার একাই ভেঙে দেন তিনি।