WPL 2024

শেষ বলে ছয়! মেয়েদের প্রিমিয়ার লিগে প্রথম ম্যাচে জিতল গত বারের বিজয়ী মুম্বই

শেষ বলে জেতার জন্য দরকার ছিল পাঁচ রান। অ্যালিস ক্যাপসিকে ছয় মেরে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে জিতিয়ে দিলেন সাজিবন সাজনা। শুক্রবার মেয়েদের প্রিমিয়ার লিগে প্রথম ম্যাচে জিতল গত বারের চ্যাম্পিয়নেরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২৩:৪৩
Share:

মেয়েদের প্রিমিয়ার লিগে প্রথম ম্যাচ জিতল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ছবি: পিটিআই।

শেষ বলে জেতার জন্য দরকার ছিল পাঁচ রান। অ্যালিস ক্যাপসিকে ছয় মেরে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে জিতিয়ে দিলেন সাজিবন সাজনা। শুক্রবার মেয়েদের প্রিমিয়ার লিগে প্রথম ম্যাচে জিতল গত বারের চ্যাম্পিয়নেরা। অর্ধশতরান করে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেন অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর।

Advertisement

শেষ ওভারে জেতার জন্য দরকার ছিল ১০ রান। প্রথম বলে আউট হন পূজা বস্ত্রকর। চতুর্থ বলে চার মারেন হরমনপ্রীত। পঞ্চম বলে ছয় মারতে গিয়ে তিনি আউট হয়ে যান। ষষ্ঠ বলে পাঁচ রান দরকার হলেও সাজনা ছয় মেরে দলকে জিতিয়ে দেন।

শুক্রবার টসে জিতে আগে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুম্বইয়ের অধিনায়ক হরমনপ্রীত। সেই সিদ্ধান্ত সফল হয়। শুরুতেই শেফালি বর্মাকে ফিরিয়ে দেন শবনিম ইসমাইল। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটে মেগ ল্যানিং এবং অ্যালিস ক্যাপসির জুটি চাপে ফেলে দেয় মুম্বইকে। দু’জনে মিলে মুম্বইয়ের বোলিং আক্রমণ নিয়ে ছেলেখেলা করতে থাকেন। অবসর নিলেও ল্যানিংয়ের শট এবং বৈচিত্র চোখে পড়ার মতো ছিল। ২৫ বলে ৩১ করে ন্যাট শিভার ব্রান্টের বল এস সাজনার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।

Advertisement

তাতেও মুম্বইয়ের সুবিধা হয়নি। চারে নেমে জেমাইমা রদ্রিগেসও চালিয়ে খেলতে থাকেন। শুরু থেকেই আক্রমণ করতে থাকেন মুম্বই বোলারদের বিরুদ্ধে। উল্টো দিকে অর্ধশতরান করে ফেলেন ক্যাপসিও। ৯টি চার এবং ৩টি ছয়ের সাহায্যে ৫৩ বলে ৭৫ করেন তিনি। অন্য দিকে জেমাইমা ৫টি চার এবং ২টি ছয়ের সাহায্যে ২৪ বলে ৪২ করে যান। পরের দিকে মেরিজেন কাপের (৯ বলে ১৬) ইনিংসে ২০ ওভারে ১৭১-৫ তোলে দিল্লি। বাংলার সাইকা ঈশাক একটিও উইকেট পাননি এ দিন। মুম্বইয়ের হয়ে দু’টি করে উইকেট শিভার-ব্রান্ট এবং অ্যামেলিয়া কেরের।

হেলি ম্যাথুজ়কে ফিরিয়ে দিল্লির শুরুটাও ভাল হয়েছিল। প্রথম ওভারেই কাপ আউট করেন ম্যাথুজ়‌কে। কিন্তু মুম্বইয়ের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যান যস্তিকা ভাটিয়া এবং ন্যাট শিভার ব্রান্ট। দ্বিতীয় উইকেটে ৫০ রানের জুটি হয় তাদের।

শিভার ব্রান্ট ১৯ রান করে ফেরার পর অধিনায়ক হরমনের সঙ্গে জুটি বেধে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন যস্তিকা। তৃতীয় উইকেটে যোগ হয় ৫৬ রান। ৪৫ বলে ৫৭ রান করে ফেরেন যস্তিকা।

এর পর দলকা একাই টেনে নিয়ে যান হরমন। তিনি ৩৪ বলে ৫৩ রান করেন। নিজে দলকে জেতাতে না পারলেও শেষ পর্যন্ত শেষ হাসি হাসলো মুম্বই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement