India vs England 2024

আকাশ দীপকে ‘অপরাধ’ করতে সাহায্য করেছিলেন মা, ছেলের অভিষেকের পর জানালেন নিজেই

শুক্রবার টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে বাংলার পেসার আকাশ দীপের। প্রথম দিনই তিন উইকেট তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডের টপ অর্ডারকে ধসিয়ে দিয়েছেন তিনি। সেই আকাশকে কী ভাবে ‘অপরাধ’ করতে সাহায্য করেছেন তাঁর মা?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:২৩
Share:

মা লাডুমা (বাঁ দিকে) এবং বোনের সঙ্গে আকাশ দীপ (মাঝে)। ছবি: এক্স।

শুক্রবার টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে বাংলার পেসার আকাশ দীপের। প্রথম দিনই তিন উইকেট তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডের টপ অর্ডারকে ধসিয়ে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু ক্রিকেটে আসার রাস্তা সোজা ছিল না। তাঁর বাবা চেয়েছিলেন ছেলে সরকারি চাকরি করুক। কিন্তু মা গোপনে ছেলেকে ক্রিকেট শেখাতে পাঠাতেন। ছেলের অভিষেকের পর মা লাডুমা দেবী সেই কথাই জানিয়েছেন সাক্ষাৎকারে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে আকাশের মা বলেছেন, “ওর বাবা চাইতেন ছেলে সরকারি আধিকারিক হোক। কিন্তু ক্রিকেটই ওর আসল ভালবাসা ছিল। আমি সেই অপরাধে ওকে সাহায্য করেছি। গোপনে ক্রিকেট খেলতে পাঠিয়ে ওর স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা করেছি। সেই সময়ে কেউ যদি জানতে পারত ছেলে ক্রিকেট খেলছে, বলে দিত সে বখে গিয়েছে। কিন্তু আমাদের বিশ্বাস ছিল আকাশের প্রতি। আমার স্বামী এবং বড় ছেলেকে হারানোর পরেও হাল ছাড়িনি।”

ছ’মাসের ব্যবধানে মারা গিয়েছিলেন আকাশের বাবা এবং দাদা। সেই প্রসঙ্গে আকাশের মা বলেন, “ওর বাবা, দাদা বেঁচে থাকলে খুব খুশি হত। আকাশের জীবনের সবচেয়ে ভাল দিন এটা। ভাগ্যবানেরাই তা দেখতে পেয়েছে। নিজেকে পৃথিবীর সেরা মা মনে হচ্ছে। সবাই বলে, পড়ালেখা করলে রাজা হওয়া যায় আর খেলাধুলো করলে খারাপ হয়। আমার ক্ষেত্রে উল্টোটা হয়েছে।”

Advertisement

প্রসঙ্গত, খেলা শেষ হওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠকে আকাশ বলেন, ‘‘বাবা চেয়েছিলেন, আমি যেন জীবনে কিছু করে দেখাতে পারি। এক বছরের মধ্যে বাবা এবং দাদাকে হারানোর পর ঠিক করেছিলাম, কিছু একটা করতেই হবে। আরও মন দিয়ে ক্রিকেট খেলতে শুরু করেছিলাম। সে সময় আমার হারানোর মতো কিছু ছিল না। জেতার জন্য অনেক কিছু ছিল।’’ এর পর আকাশ বলেছেন, ‘‘দেশের হয়ে টেস্ট খেলার মুহূর্তটা বাবাকে উৎসর্গ করছি। বাবা ভীষণ ভাবে চেয়েছিলেন, জীবনে যেন কিছু একটা করতে পারি। আমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতেন বাবা। তেমন কিছুই করতে পারিনি বাবার জন্য। তাই এই পারফরম্যান্সটা বাবাকেই উৎসর্গ করছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement