শিবাজি পার্ক, যেখানে মিশে যায় ক্রিকেট এবং রাজনীতি। —ফাইল চিত্র
মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে আড়াই বছর আগে যে জায়গায় দাঁড়িয়ে শপথ নিয়েছিলেন, সেটাকে মুম্বই ক্রিকেটের আঁতুড়ঘরও বলা যায়। শিবাজি পার্ক। যে মাঠে রাজনীতি, ক্রিকেট, আড্ডা সব কিছুই পাশাপাশি চলে। কিন্তু সেই মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে নাটকীয় পট পরিবর্তনের পরেও ক্রিকেটাররা চুপই রইলেন।
শিবাজি পার্কে এক দিকে যেমন ছত্রপতি শিবাজির বিশাল মূর্তি রয়েছে, তেমনই রয়েছে বালাসাহেব ঠাকরের স্মৃতিসৌধ। শিবসেনার কাছে মুম্বইয়ের শিবাজি পার্ক খুব গুরুত্বপূর্ণ স্থান। সেই মাঠেই ক্রিকেটের পাঠ নিয়েছেন সুনীল গাওস্কর, সচিন তেন্ডুলকর, অজিত ওয়াড়েকর, রমাকান্ত দেশাই, দিলীপ সারদেশাই, দিলীপ বেঙ্গসরকার, একনাথ সোলকার, চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত, লালচাঁদ রাজপুত, অজিত আগরকার, বিনোদ কাম্বলি, সঞ্জয় মঞ্জরেকররা। কিন্তু শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে বুধবার ইস্তফা দেওয়ার পর মুম্বইয়ের ক্রিকেটমহল যেমন ছিল, তেমনই শিবসেনার বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেও কাউকে কিছু বলতে দেখা যায়নি।
ক্রিকেটাররা রাজনীতি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেন না, এমনটা বলা যাবে না। বিভিন্ন সময় নরেন্দ্র মোদীর বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে শুভেচ্ছাবার্তা দিতে দেখা গিয়েছে ক্রিকেটারদের। উল্লেখ্য, ১৩ জুন মুম্বইয়ের সূর্যকুমার যাদব টুইট করে উদ্ধবের ছেলে আদিত্য ঠাকরেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর বাবা গদিচ্যুত হওয়ার পর কোনও টুইট দেখা যায়নি।
মুম্বইয়ের রোহিত শর্মা, অজিঙ্ক রহাণে, শ্রেয়স আয়াররা এই মুহূর্তে ইংল্যান্ডে। দেশ থেকে অনেকটাই দূরে। তাঁদের রাজ্যের পালাবদলের খবর এই ডিজিটালের যুগে তাঁদের কাছে পৌঁছলেও হয়তো তাঁরা আপাতত ক্রিকেটেই মনোনিবেশ করছেন। অথবা রাজনীতির এই মহা-নাটকে তাঁরা চরিত্র হতে চাননি।
শিবাজি পার্কে ক্রিকেট এবং রাজনীতি পাশাপাশি চললেও ব্যতিক্রম এ বারের মহা-নাটক। নাকি রোহিতরাও অপেক্ষায় সোমবারের আস্থা ভোটের?