বাবর আজ়ম। —ফাইল চিত্র।
শাহিন আফ্রিদির সঙ্গে বাবর আজ়মের ঝামেলার খবর সামনে আসার পর পাকিস্তান দলের আরও অনেক সমস্যার কথা জানা যাচ্ছে। পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক মইন খান জানিয়েছেন, শাদাব খান এবং মহম্মদ রিজওয়ানের মতো ক্রিকেটারদের সঙ্গে বাবরের ঝামেলার কথা। বিশ্বকাপের আগে বেশ টালমাটাল অবস্থা পাকিস্তান দলের। একের পর এক ঝামেলায় নাজেহাল তারা।
কিছু দিন আগেও এক দিনের ক্রিকেটে এক নম্বর দল পাকিস্তান। কিন্তু এখন তারা নেমে গিয়েছে তিন নম্বরে। ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া তাদের উপর উঠে গিয়েছে। এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে হেরে ফাইনালেও উঠতে পারেনি। বিশ্বকাপের আগে তার মধ্যেই দলের ভিতর নানা ধরনের সমস্যার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। মইন বলেন, “পুরো প্রতিযোগিতা দেখেছি। আগেও বলেছি সমস্যা রয়েছে দলের মধ্যে। কোনও ক্রিকেটার বাবরের সঙ্গে গিয়ে কথা বলে না। রিজওয়ান এক বারের জন্যেও এগিয়ে এল না। শাদাব দলের সহ-অধিনায়ক। সে পর্যন্ত এসে কথা বলল না বাবরের সঙ্গে। দলের মধ্যে কোনও একতা নেই। যে যে যার মতো খেলছে।”
বিশ্বকাপের আগে এই সমস্যা যে দলের জন্য ভাল নয় তা বুঝতে পারছেন মইন। তিনি বলেন, “বিশ্বকাপের আগে এটা শুধরে ফেলা সম্ভব। যদি সমস্যা থাকে, তাহলে কথা বলা উচিত। সাজঘরের সমস্যার কথা যদি বাইরে চলে আসে, সেটা আরও খারাপ। কোচ, ডিরেক্টরের অনুপস্থিতিতে যদি বাবর দলকে সামলাতে না পারে, অধিনায়ককে যদি দলের ক্রিকেটারেরা না মানে, তাহলে সেটা অন্য কাউকে মেটাতে হবে। কাউকে তো সাজঘরের দায়িত্ব নিতে হবে।”
শোনা গিয়েছে যে, শ্রীলঙ্কার কাছে হারের পর সাজঘরে তুমুল ঝামেলা হয়েছে বাবর এবং শাহিনের। অবস্থা সামাল দিতে এগিয়ে আসতে হয় রিজওয়ান এবং কোচ গ্রান্ট ব্র্যাডবার্নকে। পাকিস্তানের এক টিভি চ্যানেলের দাবি, শ্রীলঙ্কার কাছে হারের পর সাজঘরে ফিরে বাবর গোটা দলের উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন। সেখানে নাম না করে কিছু ক্রিকেটারের উদ্দেশ্যে তাঁদের পারফরম্যান্স বাড়ানোর কথা বলেন। বাকিরা চুপ করে থাকলেও শাহিন থেমে থাকেননি। তিনি বাবরকে বলেন, যাঁরা ভাল ব্যাট এবং বল করেছেন তাঁদের অন্তত প্রশংসা করতে। কথার মাঝখানে শাহিন থামিয়ে দেওয়ায় খুশি হননি বাবর। তিনি পাল্টা বলেন, দলের কারা ভাল খেলেছে তিনি জানেন।
শাহিন আবার এই উত্তরে খুশি হতে পারেননি। তিনি পাল্টা বাবরকে কিছু বলেন। শুরু হয়ে যায় দু’জনের মধ্যে তর্কাতর্কি। পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই রিজওয়ান ছুটে আসেন। এগিয়ে আসেন কোচও। তখনকার মতো ঝামেলা থামে। কিন্তু দলের প্রধান বোলার এবং অধিনায়কের ঝামেলা থেকে বিপদের গন্ধ পাচ্ছেন কেউ কেউ।
একটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, শ্রীলঙ্কা ম্যাচের পর থেকে বাবর নাকি নিজেকে গোটা দলের থেকে একটু দূরত্বে রাখছেন। সেটা টিম হোটেলেই হোক বা পাকিস্তানে ফেরার বিমানে। সতীর্থদের সঙ্গে বেশি মেলামেশা করছেন না। বিশ্বকাপের আগে এমন পরিস্থিতি পাকিস্তান দলের পক্ষে মোটেও সুখের নয়।