মহম্মদ সিরাজ। — ফাইল চিত্র।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনেক দিনই কেটেছে মহম্মদ সিরাজের। বুধবার তাঁর ৩০তম জন্মদিন। সে দিনই সিরাজ নিজের জীবনের বিভিন্ন অজানা কথা তুলে ধরলেন। জানালেন, কী ভাবে ছোটবেলায় কেটারিংয়ের কাজ করে অর্থ রোজগার করেছেন। ২০১৯ সালে ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন ক্রিকেট খেলাই।
বুধবার বোর্ড একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে। সেখানে সিরাজ নিজের শহর হায়দরাবাদ ঘুরিয়ে দেখিয়েছেন। চিনিয়েছেন কোথা থেকে তাঁর খেলা শুরু হয়েছিল এবং কোথায় তিনি অবসর সময় কাটাতেন। গোটা বিশ্ব ঘুরে বেড়ালেও ঈদগাহ যে এখনও তাঁর কাছে শান্তির জায়গা সেটা উল্লেখ করেছেন।
সিরাজ বলেছেন, “হায়দরাবাদে নামলে প্রথমেই বাড়ি ফেরার কথা চিন্তা করি। তার পরে ঈদগাহে যাই। বিশ্বের যেখানেই যাই না কেন, এখানকার থেকে বেশি শান্ত কোথাও নেই। ঈদগাহে গেলেই আলাদা শান্তি পাই।”
এর পরেই নিজের অতীত অভিজ্ঞতার কথা জানান সিরাজ। বলতে থাকেন, “আমি কেটারিংয়ের কাজ করতাম। পরিবারের লোকেরা বলত পড়াশোনা করতে। কিন্তু আমি ক্রিকেট খেলতে খুব ভালবাসতাম। আমরা ভাড়াবাড়িতে থাকতাম। বাবা একমাত্র রোজগেরে ছিল। একটা শতরান করলে বা দুশো টাকা পেলে সেটা নিয়েই খুশি থাকতাম। তার মধ্যে ১০০-১৫০ টাকা বাড়িতেই দিয়ে দিতাম। এক বার রুমালি রুটি বানাতে গিয়ে আমার হাত পুড়ে গিয়েছিল। তাতেও অসুবিধা হয়নি। এত কষ্ট করেছি বলেই আজ এখানে এসে পৌঁছেছি।”
এর পরেই সিরাজ বলেছেন, “২০১৯-২০ সাল নাগাদ ঠিক করে ফেলেছিলাম, এ বছরই শেষ। এর পর ক্রিকেট খেলা ছেড়ে দেব। কিন্তু কঠোর পরিশ্রম করলে তা বৃথা যায় না। দিনের শেষে না পেলেও, আজ না হোক কাল, এ বছর না হলে পরের বছর আপনার পরিশ্রম কাজে লাগবেই।”