(বাঁ দিক থেকে) মহম্মদ শামি এবং হাসিন জাহান। —ফাইল চিত্র।
মহম্মদ শামি তখন লখনউয়ের মাটিতে বল হাতে ইংল্যান্ড ব্যাটারদের কালঘাম ছোটাচ্ছেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করা হাসিন জাহান যদিও সে সব দেখছেন না। তিনি সাড়ে ৫০০ কিলোমিটার দূরে দিল্লিতে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে ব্যস্ত। তার মাঝেই হাসিন আনন্দবাজার অনলাইনকে জানালেন যে, শামি ভাল খেললে তাঁরই লাভ।
বিশ্বকাপের ঠিক আগে শামিকে ছুটতে হয়েছিল আদালতে। বধূ নির্যাতনের মামলায় প্রথম বার আদালতে হাজিরা দিতে হয়েছিল তাঁকে। বিচারক শামিকে জামিন দিয়েছেন। তাঁর স্ত্রী এখন খুশি শামি বিশ্বকাপে ভাল খেলায়। হাসিন বললেন, “শামি যত ভাল খেলবে, যত টাকা আয় করবে, আমার তত ভাল। আদালত আমার এবং মেয়ের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করবে।”
ক্রিকেট নিয়ে তেমন কোনও উৎসাহ নেই হাসিনের। শামির সঙ্গে ছ’বছরের সম্পর্ক থাকলেও ইডেনে গিয়েছেন মাত্র এক বার। হাসিন বলেন, “ক্রিকেট আমার খুব একটা পছন্দ নয়। খেলা দেখি না। এই তো এখন দিল্লিতে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছি। শামির সঙ্গে সম্পর্কে থাকার সময়েও আমাকে মাঠে দেখা যেত না। আমি খেলা দেখতে যেতাম না।” বিদেশে খেলা থাকলে শামি তাঁকে নিয়ে যেতেন না বলেও অভিযোগ করলেন হাসিন। তিনি বললেন, “আমি শামির সঙ্গে বিদেশে যেতে চাইতাম। বাইরে খেলা থাকলে তখন ওর সঙ্গে যেতে চাইতাম। কিন্তু আমাকে নিয়ে যেত না।”
২০১৪ সালের ৬ জুন শামি বিয়ে করেছিলেন হাসিনকে। সেই সম্পর্ক এখন তলানিতে ঠেকেছে। শামি নিজের মেয়ের দিকেও নজর দেন না বলে অভিযোগ হাসিনের। তিনি বললেন, “কত করে বলছি মেয়েকে একটা ভাল স্কুলে ভর্তি করাতে। ওর সে দিকে কোনও নজর নেই। ক্রিকেটটাও তো খেলে নিজের জন্য।”
শামি যদিও এ সব থেকে অনেক দূরে। নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিম এবং গতির আগুন ঝরাচ্ছেন ভারতের জার্সিতে। হাসিনও ক্রিকেটার শামির সঙ্গে মানুষ শামিকে গুলিয়ে ফেলতে রাজি নন। হাসিন বললেন, “ক্রিকেটার শামি আর মানুষ শামিকে গুলিয়ে ফেললে চলবে না। ও ভাল ক্রিকেটার হতে পারে। তার সঙ্গে আমার কোনও বিরোধ নেই। মানুষ শামির বিরুদ্ধে আমার লড়াই।”