অ্যাডাম জনসন। —ফাইল চিত্র।
খেলার মাঠে মৃত্যু আগেও দেখেছে বিশ্ব। কিন্তু রক্তের ধারা বয়ে যাওয়ার মতো বীভৎস দৃশ্য দর্শক কি আগে কখনও দেখেছে? নটিংহ্যাম প্যান্থার্সের হয়ে খেলতে নেমে মারা গেলেন অ্যাডাম জনসন। ২৯ বছরের এই আইস হকি খেলোয়াড়ের ঘাড় কেটে যায় স্কেটের ব্লেডে। তাতেই মৃত্যু হয় জনসনের।
ম্যাচ ছিল নটিংহ্যাম বনাম শেফিল্ড স্টিলার্সের মধ্যে। ৩৫ মিনিটের মাথায় সেই খেলা বন্ধ হয়ে যায়। বরফের উপরেই চিকিৎসকেরা আসেন। কিন্তু জনসনকে বাঁচানো যায়নি। ক্লাবের তরফ থেকে বলা হয়, “আমাদের দল ওর অভাব অনুভব করবে। জনসনকে ভোলা যাবে না। ৪৭তম জার্সি পরে খেলত ও। শুধু ভাল খেলোয়াড় নয়, ভাল মানুষও ছিল। জনসনের পরিবারকে সমবেদনা জানাই। ওর কাছের মানুষদের সকলের জন্যই কঠিন সময়। জনসনের এই ঘটনায় আমরা স্তম্ভিত।”
ইংল্যান্ডের সব ক্লাবের আইস হকি ম্যাচ রবিবার বন্ধ রাখা হয়েছে। এলিট আইস হকি লিগের পক্ষ থেকে বলা হয়, “আমরা সকলের জনসনের পরিবারের সঙ্গে আছি। সকলের জন্যই এটা একটা কঠিন সময়।”
শনিবার যখন বরসের উপর স্কেটের ব্লেডে জনসনের ঘাড় কেটে যায়, সঙ্গে সঙ্গে বাকি খেলোয়াড়েরা তাঁকে ঘিরে ফেলেন। দৃশ্য এতটাই ভয়ঙ্কর ছিল যে, দর্শকদের চোখের আড়ালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। স্ক্রিন এনে ঢেকে ফেলা হয়। পরে লকার রুমে নিয়ে যাওয়া হয় জনসনকে। ম্যাচ দেখতে এসেছিলেন আট হাজার সমর্থক। ওই ঘটনার পর তাঁদের স্টেডিয়াম থেকে বার করে দেওয়া হয়। তাঁরা সকলেই জনসনের জন্য চিন্তিত ছিলেন। পরে জনসনের মৃত্যুর খবরে তাঁরাও শোকস্তব্ধ।
বিভিন্ন দেশের আইস হকি লিগে খেলে বেড়াতেন জনসন। কিছু দিন আগেই নটিংহ্যামের দলে যোগ দিয়েছিলেন। সেই দলের হয়ে খেলতে গিয়েই প্রাণ গেল তাঁর।