মহম্মদ শামি। —ফাইল চিত্র।
মহম্মদ শামি যে ভাবে বল ধরেন এবং কব্জির নৈপুণ্যে সুইং করান তা অবাক করে দেয় সকলকে। পাকিস্তানেও সমর্থক রয়েছে বাংলার পেসারের। শাহিন আফ্রিদি বলেছিলেন যে, তিনি শামিকে দেখেই শিখেছেন বল ধরার শিল্প। তবে শামির কোচ জানালেন যে, এর পিছনে রয়েছে কঠোর পরিশ্রম।
শামির ছোটবেলার কোচ মহম্মদ বদরুদ্দিন। তিনি বলেন, “প্রতি দিন অনুশীলন শেষে আমার থেকে একটা পুরনো বল নিয়ে যেত। পরে ওর বাবা জানায় যে, শামির বিছানার উল্টো দিকের দেওয়ালে লাল বলের দাগ হয়ে গিয়েছে। শামি দেওয়ালে বল ছুড়ে ধরত। কব্জির জায়গা ঠিক রাখার জন্য এই ভাবে অনুশীলন করত ও। সকলে শামির কব্জির প্রশংসা করে। কিন্তু খুব কম লোকেই জানে এর পিছনে কঠোর পরিশ্রম রয়েছে। অনেক বোলারের বল ধরা খুব সুন্দর। কিন্তু সেটা পুরো কেরিয়ারে ধরে রাখতে পারে না। শামি কঠোর পরিশ্রম করে সেটা ধরে রেখেছে।”
মোহালির পিচ পেস সহায়ক ছিল না। এমন পিচে উইকেট পেতে হলে পেসারদের পরিশ্রম করতে হয়। শামি ইনিংস শেষে বলেন, “দলের প্রয়োজনে উইকেট নিতে পেরে ভাল লাগছে। এই পিচে খুব বেশি কিছু ছিল না। সঠিক লেংথে বল করা এবং বৈচিত্র প্রয়োজন হয়। সেটা করতে পেরেছি। পরিশ্রমের ফল পেয়েছি।”
শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৫ উইকেট নেন শামি। অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার মিচেল মার্শ তাঁর বলে স্লিপে ক্যাচ দেন। শামির বলে খোঁচা দেন তিনি। স্টিভ স্মিথকে বোলার করেন ভারতীয় পেসার। শামির বলের লাইন বুঝতে পারেননি স্মিথ। তাঁর ব্যাটে লেগে বল উইকেট ভেঙে দেয়। মার্কাস স্টোইনিসকেও বোল্ড করেন শামি। ডেথ ওভারে ম্যাথু শর্ট ক্যাচ দেন শামির বলে। তাঁর বলে বোল্ড শন অ্যাবট। ১০ ওভারে ৫১ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নেন শামি।