মহম্মদ রিজ়ওয়ান। —ফাইল চিত্র।
অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন জোরে বোলার গ্লেন ম্যাকগ্রার পরিবারের মহিলা সদস্যদের সঙ্গে করমর্দন করলেন না পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার মহম্মদ রিজ়ওয়ান। অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান তৃতীয় টেস্টের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। তাতে দেখা যাচ্ছে, গ্লেন ম্যাকগ্রার পরিবারের মহিলা সদস্যদের সঙ্গে পাকিস্তানের অন্য ক্রিকেটারেরা করমর্দন করলেও এড়িয়ে যাচ্ছেন রিজ়ওয়ান।
ম্যাকগ্রা ফাউন্ডেশন স্তন ক্যানসার নিয়ে কাজ করে। মহিলাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি, স্তন ক্যানসারে আক্রান্তদের চিকিৎসায় সাহায্যও করে থাকেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন জোরে বোলার। স্তন ক্যানসার নিয়ে সচেতনতা প্রচারের জন্য ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সে দেশের ক্রিকেট সংস্থা) সঙ্গে চুক্তি রয়েছে ম্যাকগ্রা ফাউন্ডেশনের। সে দেশে আয়োজিত টেস্ট ম্যাচের কোনও এক দিন বা সাদা বলের কোনও ম্যাচে গোলাপি টুপি পরে খেলেন দু’দলের ক্রিকেটারেরা। দর্শকদেরও দেওয়া হয় গোলাপি টুপি।
তেমনই সিডনি টেস্টের তৃতীয় দিনটিকে বেছে নেওয়া হয়েছিল স্তন ক্যানসারের প্রচারের জন্য। মাঠে নামার সময় দু’দলের ক্রিকেটারদের স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন ম্যাকগ্রার পরিবার এবং ফাউন্ডেশনের সদস্যেরা। ক্রিকেটারদের মাঠে ঢোকার পথে বিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল গোলাপি কার্পেট। দু’দলের ক্রিকেটারেরা মাঠে ঢোকার সময় সেই কার্পেটের এক দিকে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন ম্যাকগ্রা পরিবারের মহিলা সদস্যেরা। তাঁরা ক্রিকেটারদের সঙ্গে করমর্দন করে সচেতনতা প্রচারে সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার মতো পাকিস্তানের ক্রিকেটারেরাও মাঠে নামেন গোলাপি টুপি পরে। শান মাসুদ, বাবর আজ়মেরা ম্যাকগ্রার পরিবারের মহিলা সদস্যদের সঙ্গে করমর্দন করলেও হাত বাড়াননি রিজ়ওয়ান। তিনি করমর্দন করতে অস্বীকার করেন।
ম্যাকগ্রার পরিবারের মহিলা সদস্যদের অবশ্য অসম্মান করেননি পাক উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। ভারতীয় উপমহাদেশের সংস্কৃতি মেনে হাতজোড় করে নমস্কার করেন তিনি। ম্যাকগ্রা পরিবারের মহিলা সদস্যদেরও তাঁকে প্রতি নমস্কার করতে দেখা গিয়েছে। তবু তৈরি হয়েছে ছোট বিতর্ক। করমর্দন করাই অস্ট্রেলিয়ার সংস্কৃতি। সে দেশে খেলতে গিয়েও রিজ়ওয়ান কেন করমর্দন করলেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশ। পাকিস্তানের অন্য ক্রিকেটারেরা ম্যাকগ্রা পরিবারের মহিলা সদস্যদের সঙ্গে করমর্দন করায় বিষয়টিকে রিজ়ওয়ানের ব্যক্তিগত সমস্যা হিসাবে দেখছেন তাঁরা।
স্তন ক্যানসার নিয়ে সচেতনতা তৈরির জন্য ম্যাকগ্রা ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন অসি ক্রিকেটারের স্ত্রী জেন। তিনি কয়েক বছর স্তন ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করার পর ২০০৮ সালে প্রয়াত হন।