তৃতীয় দিনে হাসি ফিরল হেজলউড (বাঁ দিকে), কামিন্সদের মুখে। ছবি: রয়টার্স
অ্যাশেজ়ে লর্ডস টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষে বেশ ভাল জায়গায় ছিল ইংল্যান্ড। তৃতীয় দিন ২৭৮-৪ নিয়ে খেলা শুরু করেছিল তারা। কিন্তু তৃতীয় দিন মেঘলা আবহাওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের দাপটে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে গেল মাত্র ৩২৫ রানে। অস্ট্রেলিয়ার থেকে ৯১ রানে পিছিয়ে ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষ হয়। শেষ ছ’উইকেট পড়েছে ৪৭ রানে। অস্ট্রেলিয়াকে হাত ঘোরাতে হয়েছে ১৫.২ ওভার। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া ১২-০। এগিয়ে ১০৩ রানে।
দ্বিতীয় দিনে ক্রিজে জমে গিয়েছিলেন হ্যারি ব্রুক এবং বেন স্টোকস। এক সময় মনে হচ্ছিল, অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসের রান অনায়াসে পেরিয়ে যাবে ইংল্যান্ড। কিন্তু এ দিন শুরু থেকে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল ইংরেজদের ইনিংস। কোনও ব্যাটারই দাঁড়াতে পারলেন না।
নেথান লায়নকে হারিয়ে এমনিতেই একটু চাপের মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু বল হাতে কোনও পার্থক্য দেখা গেল না। শুরুতেই বেন স্টোকসকে তুলে নেন মিচেল স্টার্ক। অর্ধশতরান করেই ফিরে যান ব্রুক। ইংল্যান্ডের শেষ ভরসা ছিলেন জনি বেয়ারস্টো। তিনিও মাত্র ১৬ রানে ফিরে যান। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস দেখলে বোঝা যাবে, একমাত্র জাক ক্রলি বাদে প্রত্যেকের স্ট্রাইক রেট ১০০-র থেকে বেশ কম। অর্থাৎ ‘বাজ়বল’-এর (ইংল্যান্ডের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলাচ্ছেন দলকে। যেহেতু তাঁর ডাকনাম ‘বাজ়’, ইংল্যান্ডের ক্রিকেটকে বাজ়বল বলা হচ্ছে।) ঘরানা অনুযায়ী অতি আগ্রাসী হয়ে খেলতে যাননি কেউ। তাতেও খুব একটা লাভ হল না। সাবধানী হয়ে খেলতে গিয়ে ইংল্যান্ড আরও বিপদে পড়ল।