Cricket Australia

অসি ক্রিকেটারের অবসর নিয়ে সমালোচনা করায় ধারাভাষ্যকারের চাকরি গেল আর এক অসির

সতীর্থ ডেভিড ওয়ার্নারের প্রকাশ্যে সমালোচনা করে মোটা বেতনের চাকরি হারালেন মিচেল জনসন। অস্ট্রেলিয়া বনাম পাকিস্তান সিরিজ়ে ধারাভাষ্যকারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হল তাঁকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:১৮
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

সতীর্থ ডেভিড ওয়ার্নারের প্রকাশ্যে সমালোচনা করে মোটা বেতনের চাকরি হারালেন মিচেল জনসন। অস্ট্রেলিয়া বনাম পাকিস্তান সিরিজ়ে ধারাভাষ্যকারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হল তাঁকে। যে চ্যানেলে জনসনের ধারাভাষ্য দেওয়ার কথা ছিল, সেই চ্যানেলের প্রকাশিত তালিকায় জনসনের নাম নেই। মনে করা হচ্ছে, প্রাক্তন সতীর্থের বিরুদ্ধে মুখ খোলার কারণেই তিনি সবার বিরাগভাজন হয়েছেন।

Advertisement

‘ট্রিপল এম’ সংস্থার হয়ে এই সিরিজ়ে ধারাভাষ্য দেওয়ার কথা ছিল জনসনের। তিনি নিজেও সে কথা জানিয়েছিলেন সবাইকে। কিন্তু মঙ্গলবার যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে মার্ভ হিউজ, ওয়াসিম আক্রম এবং মার্ক টেলরকে রাখা হয়েছে। কোথাও নেই জনসনের নাম।

ওয়ার্নারের বিদায়ী সিরিজ় খেলা নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত। ওপেনারের দাবি মেনে নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের দলে রাখা হয়েছে তাঁকে। তার পরেই ওয়ার্নারকে নিশানা করেন জনসন। এক সময় অস্ট্রেলিয়া দলে ওয়ার্নারের সতীর্থ ছিলেন তিনি। ওয়ার্নারের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচক প্রধান জর্জ বেইলিকেও কটাক্ষ করেন তিনি। টেনে আনেন ২০১৮ সালে স্যান্ডপেপার ঘটনা। ওয়ার্নারের ফর্মের উদাহরণ দিয়ে জনসন বলেন, ‘‘শেষ ৩৬ টেস্ট ইনিংসে ২৬ গড়ে ব্যাট করেছে ওয়ার্নার। এক জন ওপেনার যদি এত খারাপ ফর্মে থাকে তা হলে কেন তাকে খেলানো হবে। শুধুমাত্র বিদায়ী সিরিজ় বলে? এর কোনও মানে হয় না। বেইলির সেটা বোঝা উচিত ছিল। ব্যক্তিগত সম্পর্ক নয়, ফর্ম দেখে দল গড়া উচিত ছিল।’’

Advertisement

২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট চলাকালীন বল বিকৃতির অভিযোগ উঠেছিল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। মনে করা হয়, তার নেপথ্যে প্রধান মাথা ছিলেন ওয়ার্নার। স্যান্ডপেপার দিয়ে বলের আকার নষ্ট করার চেষ্টা করেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই ঘটনাও টেনে আনেন জনসন। তিনি বলেন, ‘‘গত পাঁচ বছরে ওয়ার্নার শুধুমাত্র বল বিকৃত করেছে। অস্ট্রেলিয়ার সম্মানহানি করেছে। আর সেই ক্রিকেটারকেই কিনা সম্মান দেওয়া হচ্ছে। এটা হাস্যকর।’’

পরে আবার জনসন জানান যে, ওয়ার্নারের উপর তাঁর রাগের কারণ লুকিয়ে রয়েছে এপ্রিল মাসের মেসেজে। সেই মেসেজে নাকি খুব খারাপ কথা লেখা ছিল। তখন ওয়ার্নারের ফর্ম নিয়ে এক জায়গায় সমালোচনা করেছিলেন জনসন। সেই প্রেক্ষিতে জনসনকে ব্যক্তিগত ভাবে মেসেজ করেছিলেন ওয়ার্নার। যা ভাল লাগেনি জনসনের। সেই কারণেই গত সোমবার ওয়ার্নারের উপর ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। জনসন বলেন, “ওয়ার্নারের থেকে আমি একটা মেসেজ পেয়েছিলাম। সেটা ব্যক্তিগত মেসেজ ছিল। আমি তার পর ওয়ার্নারের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সম্ভব হয়নি। সেটাই হয়তো আমাকে ওয়ার্নারের বিরুদ্ধে কথা বলতে তাতিয়ে দিয়েছিল।”

জনসন এটাও জানিয়েছেন যে, ওয়ার্নারের পাঠানো ব্যক্তিগত মেসেজটি ভাল লাগেনি তাঁর। জনসন বলেন, “আমি সকলের সঙ্গেই কথা বলার চেষ্টা করি। দলের ছেলেদের আমি এটাও বলেছি যে, সংবাদমাধ্যমে আমার কোনও কথা বা লেখা যদি ভাল না লাগে, সেটাও আমাকে জানাতে। কিন্তু ওয়ার্নারের পাঠানো ব্যক্তিগত মেসেজটি আমার ভাল লাগেনি। সেখানে এমন কিছু বলা হয়েছিল যা ঠিক নয়। কী কথা হয়েছিল সেগুলো বলব না। ওয়ার্নার তা নিয়ে কথা বলবে কি না, সেটা ওর ব্যাপার। কিন্তু সেই মেসেজে এমন কিছু লেখা ছিল যা দেখে আমি হতাশ। খুব খারাপ কথা লেখা ছিল সেই মেসেজে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement