— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
দিল্লির রাজ্য অ্যাথলেটিক্সে বাকি সাত সতীর্থ ডোপ পরীক্ষার নাম শুনে পালানোয় তিনি একাই দৌড়েছিলেন। সেই একমাত্র দৌড়বিদও ডোপ পরীক্ষায় পাশ করতে পারলেন না। প্রতিযোগিতার আয়োজকেরাই এ কথা জানিয়েছেন। গত ২৬ সেপ্টেম্বর দৌড় শেষ হওয়ার পর তাঁর মূত্রের নমুনা নেওয়া হয়। সেখানেই নিষিদ্ধ স্টেরয়েডের উপস্থিতি মিলেছে।
দিল্লির এই ১০০ মিটার প্রতিযোগিতা হয়েছিল সেপ্টেম্বর মাসেই। মোট আট জন দৌড়বিদ ফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন। কিন্তু সেই প্রতিযোগিতায় ভারতের ডোপ বিরোধী সংস্থার (নাডা) আধিকারিকেরা হাজির রয়েছেন জানতে পেরে সাত জনই পালিয়ে যান। পড়েছিলেন শুধু ললিত কুমার। তিনি একাই ওই প্রতিযোগিতায় দৌড়ন এবং স্বাভাবিক ভাবেই সোনা জেতেন। নিয়ম মতো দৌড়ের পর তাঁর মূত্রের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেই নমুনাতেও নিষিদ্ধ পদার্থ পাওয়া গিয়েছে। ফলে তিনিও ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ।
দিল্লির রাজ্য অ্যাথলেটিক্স সংস্থার সভাপতি সানি জোশুয়া জানিয়েছেন, বাকি সাত জন ক্রীড়াবিদের দৌড়ে অনুপস্থিত থাকার কারণ জানতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তারা আগামী কিছু দিনের মধ্যেই রিপোর্ট জমা দেবে। যদি ওই ক্রীড়াবিদেরা নাম তুলে নেওয়ার সপক্ষে যুক্তিযুক্ত কোনও কারণ না দিতে পারেন, তা হলে দু’বছরের জন্য তাঁদের নির্বাসিত করা হতে পারে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ভারতের অ্যাথলেটিক্স সংস্থাও এই বিষয়ের জন্যে একটি কমিটি গঠন করেছে। দিল্লি সংস্থার তরফে ভারতীয় সংস্থার কাছে একটি রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।