বাউন্ডারির বাইরে ক্যাচ ধরেন ফিল্ডার। এই ক্যাচ নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ছবি: টুইটার
ফিল্ডার যখন ক্যাচ ধরলেন তখন তিনি বাউন্ডারির বাইরে। কিন্তু আম্পায়ার সিদ্ধান্ত দিলেন আউট। এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ক্যাচের ভিডিয়ো প্রকাশ হওয়ার পরে সেই নিয়ে প্রশ্ন আরও বাড়ছে।
নতুন বছরের প্রথম দিন ঘটনাটি ঘটেছে বিগ ব্যাশ লিগে ব্রিসবেন হিট ও সিডনি সিক্সার্সের মধ্যে ম্যাচে। ব্রিসবেনের করা ২২৪ রান তাড়া করতে গিয়ে সিডনির ইনিংসের ১৯তম ওভারে ছক্কা মারতে যান জর্ডন সিল্ক। লং অফের উপর দিয়ে মারেন তিনি। কিন্তু বল বাউন্ডারি পার করেনি। তার আগেই ক্যাচ ধরেন মাইকেল নাসের। তার পরেই ঘটে সেই ঘটনা।
ক্যাচ ধরার পরে শরীরের ভারসাম্য রাখতে পারেননি মাইকেল। বাউন্ডারির বাইরে বেরিয়ে যান তিনি। কিন্তু তার আগে বল উপরের দিকে ছুড়ে দেন তিনি। বল তার পরেও বাউন্ডারির বাইরে চলে যায়। বাইরে থাকা অবস্থাতেই আরও এক বার সেই বল ধরে সঙ্গে সঙ্গে বাউন্ডারির ভিতরে ছুড়ে দেন মাইকেল। সেই সময় তাঁর পা মাটিতে ছিল না। তার পরে বাউন্ডারির ভিতরে ঢুকে তৃতীয় বারের চেষ্টায় ক্যাচ ধরেন তিনি।
আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হন ব্যাটার সিল্ক। তিনি বার বার আম্পায়ারের কাছে আবেদন করতে থাকেন যে মাইকেল দ্বিতীয় বার যখন বল ধরেছেন তখন তিনি বাউন্ডারির বাইরে। তা হলে কী ভাবে সেটা আউট দিলেন আম্পায়ার! কিন্তু আম্পায়ার নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। এই ক্যাচের ভিডিয়ো প্রকাশ পাওয়ার পরে বিতর্ক আরও বেড়েছে। ক্যাচ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত ক্রিকেট ভক্তরা।
কী বলছে ক্রিকেটের নিয়ম?
ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী অবশ্য ক্যাচটি বৈধ। আইসিসির নিয়মের ১৯.৫.২ ধারায় বলা হয়েছে, ‘‘প্রথমে কোনও ফিল্ডার বাউন্ডারির ভিতরে ক্যাচ ধরে বল উপরে ছুড়ে বাউন্ডারির বাইরে বেরিয়ে যেতে পারেন। বাউন্ডারির বাইরে দ্বিতীয় বার বল ধরার সময় যদি তাঁর পা হাওয়ায় থাকে তা হলে সেই ফিল্ডারকে বাউন্ডারির ভিতরে ধরা হবে।’’ এ ক্ষেত্রে মাইকেল সেটাই করেছেন। তাই তাঁর ক্যাচ বৈধ।
এই ক্যাচের উপরে খেলার ফল নির্ধারণ হওয়ায় বিতর্ক বেড়েছে। প্রথমে ব্যাট করে জশ ব্রাউনের ৬২ ও নেথন ম্যাকসুইনির ৮৪ রানের দৌলতে ২২৪ রান করে ব্রিসবেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে জোশুয়া ফিলিপ ও জেমস ভিন্সের দাপটে ঝোড়ো শুরু করে সিডনি। ভিন্স আউট হলে সেখান থেকে ইনিংস টানেন সিল্ক। তিনি আউট হওয়ার পরে মাত্র ১৫ রানে হারে সিডনি। অর্থাৎ, সেই ক্যাচ না হলে জেতার সুযোগ ছিল সিডনির। সেই কারণেই বিতর্ক আরও বাড়ছে।