এখনও ক্ষত সারেনি ঋষভ পন্থের। তার মধ্যেই ভারতীয় ক্রিকেটারের ক্ষতে সংক্রমণের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। —ফাইল চিত্র
গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত ঋষভ পন্থের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কিন্তু তাঁর ক্ষতে সংক্রমণের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই আইসিইউ থেকে আলাদা একটি কেবিনে স্থানান্তরিত করা হয়েছে ক্রিকেটারকে। তাঁকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়া হবে কি না সেই বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার প্রধান শ্যাম শর্মা এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘সংক্রমণের ভয়ে আমরা পন্থের পরিবার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম যাতে পন্থকে আলাদা কেবিনে স্থানান্তরিত করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেটা করেছেন। ও এখন ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে।’’
রবিবার উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী জানিয়েছেন, পন্থের চিকিৎসার সম্পূর্ণ খরচ দেবে রাজ্য সরকার। তবে পন্থের চিকিৎসা কী ভাবে হবে তা ঠিক করবে বিসিসিআই। দুর্ঘটনায় পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়েছে পন্থের। লিগামেন্টের চিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। তবে সেটা সম্পূর্ণ ভাবে নির্ভর করছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের উপর। তারাই ঠিক করবে কোথায় ভারতীয় ক্রিকেটারের চিকিৎসা হবে।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এখন পন্থের বিশ্রামের প্রয়োজন। কিন্তু সেটাই হচ্ছে না তাঁর। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন ভারতীয় ক্রিকেটারের পরিবার। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে পন্থকে দেখতে এসেছেন রাজনৈতিক নেতা, মন্ত্রী, ক্রীড়া আধিকারিক থেকে শুরু করে অভিনেতা। হাসপাতালে রোগীর সঙ্গে দেখা করার জন্য বরাদ্দ সময়ের বাইরেও আসছেন তাঁরা। তাতেই সমস্যা হচ্ছে।
পন্থের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা মেডিক্যাল দলের এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘‘এখন পন্থের বিশ্রামের প্রয়োজন। শুধু শারীরিক কারণে নয়, মানসিক সুস্থতার জন্যও পন্থ যত বেশি বিশ্রাম করতে পারবেন, তত ওঁর পক্ষে ভাল। এখনও ওঁর ক্ষত টাটকা রয়েছে। যাঁরা দেখতে আসছেন তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে হচ্ছে পন্থকে। এতে উনি আরও দুর্বল হয়ে পড়ছেন। তাই এখন ওঁর সঙ্গে দেখা করতে আসা উচিত নয়। সেটা সবাইকে মাথায় রাখতে হবে।’’
হাসপাতালে রোগীকে দেখতে আসার সময় বেলা ১১টা থেকে ১টা ও বিকাল ৪টে থেকে ৫টা। কিন্তু যে হেতু পন্থ খ্যাতনামী, তাই ওঁর ক্ষেত্রে নিয়ম আলাদা। যে কোনও সময় ওঁকে দেখতে আসা যাবে। তাতেই সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের এক কর্মী।