বিরাট কোহলি। —ফাইল চিত্র।
বিশ্বকাপের ফাইনালে ৬ উইকেটে জেতে অস্ট্রেলিয়া। শেষ পর্যন্ত ক্রিজ়ে ছিলেন মার্নাস লাবুশেন। তাঁর ১১০ বলে ৫৮ রানের ইনিংস ভারতীয় বোলারদের সব আক্রমণ নির্বিষ করে দেয়। উল্টো দিকে থাকা ট্রেভিস হেডকে সুযোগ করে দেয় ঝোড়ো ইনিংস খেলার। ফাইনালে বিরাট কোহলি-সহ ভারতীয় দলের অনেকেই তাঁকে স্লেজিং করেছিল, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দু’দিন পর জানালেন লাবুশেন।
অস্ট্রেলীয় ব্যাটারের মনে হচ্ছিল, তাঁরা ফাইনাল খেলতে নেমেছেন ‘আন্ডারডগ’ (যারা ফেবারিট নয়) হিসাবে। কোহলিদের স্লেজিং এবং দর্শকদের চিৎকারের জন্যই এরকম মনে হয়েছিল বলে জানিয়েছেন লাবুশেন। বিশ্বকাপ জয়ের দু’দিন পেরিয়ে গিয়েছে। লাবুশেন তাঁর কলামে লেখেন, “ভারতীয় দল আমার উপর চেপে বসার চেষ্টা করছিল। দর্শকদের বিশাল চিৎকার শুনতে পাচ্ছিলাম। বিরাটরাও নানা কথা বলছিল। সত্যি বলতে ওরা কী বলছিল আমি শুনতে পাইনি দর্শকদের ওই বিশাল চিৎকারের কারণে।”
লাবুশেনের মনে হচ্ছিল বিশ্বকাপ ফাইনালে তাঁরা আন্ডারডগ হিসাবে খেলতে নেমেছেন। সেটা অস্ট্রেলিয়া দলকে আরও শক্তি দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। লাবুশেনে লেখেন, “মাঠে যাওয়ার সময় দেখছিলাম পাঁচ কিলোমিটার দূর থেকে মানুষ হেঁটে খেলা দেখতে যাচ্ছে। রাস্তার দু’পাশে সমর্থকদের লাইন। নীল সমুদ্র মনে হচ্ছিল। জাতীয় সঙ্গীতের সময় মনে হল গোটা বিশ্বের বিরুদ্ধে আমরা খেলতে নেমেছি। এই আন্ডারডগ অনুভূতিটা আমরা উপভোগ করি।”
ভারতের ইনিংসের সময় বিরাট আউট হওয়ার পর মাঠে কী অবস্থা হয়েছিল, সেটাও লিখেছেন লাবুশেন। তিনি লেখেন, “১ লক্ষ ৩০ হাজারের স্টেডিয়ামের মাঝখানে দাঁড়িয়ে খেলছিলাম আমরা। বিরাট আউট হতেই পুরো মাঠ চুপ করে যায়। আমরা হার্ডল করি। এক মুহূর্ত সময় নিই ওই নিস্তব্ধতা উপভোগ করতে। রোহিত শর্মার আউটটা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল লোভ দেখিয়েছিল। রোহিত বড় শট খেলতে গেল। আর ট্রেভিস হেড দৌড়ে গিয়ে বলটা লুফে নিল। আমাদের কাছে ওই উইকেটটা ভীষণ দামি।”
বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত প্রথমে ব্যাট করে ২৪০ রান করে। ৬ উইকেট হাতে নিয়ে জয়ের রান তুলে দেন লাবুশেনেরা। ষষ্ঠ বার এক দিনের বিশ্বকাপ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া।