মনোজ নিজেও অনুশীলন করছেন। ফিটনেস ধরে রাখার জন্য পরিশ্রম করছেন তিনি। কয়েক দিনের মধ্যে ব্যাট হাতেও অনুশীলনে নেমে পড়বেন বলে জানালেন মনোজ। মোহনবাগানের হয়ে ক্লাব ক্রিকেটে ১১ মে থেকে মাঠে নামবেন তিনি।
ফাইল চিত্র।
তাঁর স্বপ্ন বাংলার হয়ে রঞ্জি ট্রফি জেতা। এ বছর সেই স্বপ্ন পূরণ হলেই কি তবে ব্যাট, প্যাড তুলে রাখবেন মনোজ তিওয়ারি? বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক জানিয়ে দিলেন এখনই তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই। বাংলা রঞ্জি জিতলেও তিনি আছেন, না জিতলেও তিনি আছেন। অবসরের কোনও ভাবনা তাঁর মাথায় নেই।
শুক্রবার আনন্দবাজার অনলাইনকে মনোজ বললেন, “বাংলা হারুক, জিতুক আমি আছি। আমি খেলা চালিয়ে যাব। অবসর নিয়ে এখনই কোনও ভাবনা নেই।” হাঁটুর চোট নিয়ে মাঝে একটা সময় বেশ ভুগছিলেন ভারতের হয়ে শতরান করেও বাদ যাওয়া মনোজ। সেই চোট সারিয়ে তিনি বাংলার হয়ে গ্রুপ পর্বে মাঠে নামেন। একটি অর্ধশতরান এবং গুরুত্বপূর্ণ সময় বল হাতে উইকেট নিয়ে দলের জয়ের পিছনেও অবদান রাখেন।
তাঁর কাজটা যদিও খুব সহজ নয়। কারণ এক দিকে তিনি রাজ্যের মন্ত্রী আবার অন্য দিকে বাংলার অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলা খেলবে ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচ নিয়ে ভাবনা শুরু হয়ে গিয়েছে বাংলা দলের মধ্যে। মনোজ নিজেও অনুশীলন করছেন। ফিটনেস ধরে রাখার জন্য পরিশ্রম করছেন তিনি। কয়েক দিনের মধ্যে ব্যাট হাতেও অনুশীলনে নেমে পড়বেন বলে জানালেন মনোজ। মোহনবাগানের হয়ে ক্লাব ক্রিকেটে ১১ মে থেকে মাঠে নামবেন তিনি।
ফাইল চিত্র।
অনুশীলন করছেন, ম্যাচও খেলবেন, তবুও একটা চিন্তা রয়ে গিয়েছে মনোজের মনে। তিনি জানেন রঞ্জিতে বাংলার যে ধারাবাহিকতা গ্রুপ পর্বে ছিল, মাঝে লম্বা সময়ের পর কোয়ার্টার ফাইনালে নামতে হলে সেই ছন্দ রাখা কঠিন। মনোজ বললেন, “দলটা এক রকম ভাবে চলছিল। সেটা তো একটু ধাক্কা খাবেই। গ্রুপ পর্বের পরেই নকআউট হলে সেটা ভাল হত। একটা বাধা তো পড়ল।”
এ বারের আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে নজর কেড়েছেন বাংলার আকাশ দীপ এবং শাহবাজ আহমেদ। পঞ্জাব কিংস দলে রয়েছেন ঈশান পোড়েল এবং ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়। শাহবাজ বাংলার হয়ে গ্রুপ পর্বে বেশ কিছু ম্যাচে জয়ের পিছনে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন। আকাশ এবং ঈশানও ভাল করেছিলেন সেই ম্যাচগুলিতে। আইপিএল খেলে বিরাট কোহলী, ফ্যাফ ডুপ্লেসি, অনিল কুম্বলে, ময়ঙ্ক অগ্রবালের মতো তারকাদের সামনে থেকে দেখার অভিজ্ঞতা, তাঁদের সঙ্গে সাজঘর ভাগ করে নেওয়ার অভিজ্ঞতা হচ্ছে। এই অভিজ্ঞতা বাংলা দলের কাজে লাগতে পারে বলে মনে করছেন মনোজ। তিনি বললেন, “বড় বড় ক্রিকেটারের সঙ্গে সাজঘর ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। অভিজ্ঞতা তৈরি হচ্ছে। এর ফলে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। তবে বাংলার হয়ে দায়িত্ব নিয়ে ম্যাচ জেতাতে হবে ওদের। তখন বোঝা যাবে অভিজ্ঞতা কাজে লাগল কি না।”
শাহবাজরা খেলছেন সাদা বলে। ক্লাব ক্রিকেটেও বাংলার অনেক ক্রিকেটার খেলছেন। তাঁদের অনেকেই সাদা বলে খেলছেন। রঞ্জিতে লাল বলের খেলা। অসুবিধা হবে? মনোজ বললেন, “পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াই ক্রিকেটারদের কাজ। এমনটা তো প্রথম হচ্ছে না। আগেও সাদা বলে খেলার কয়েক দিনের মধ্যেই লাল বলে খেলতে হয়েছে। মানিয়ে নিতে হবে। যত তাড়াতাড়ি সেটা করা যাবে ততই দলের লাভ। তবে আমার মনে হয় না খুব বেশি অসুবিধা হবে বলে।”
কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলার প্রতিপক্ষ ঝাড়খণ্ড। সেই দল নিয়েও পড়াশোনা করা হয়ে গিয়েছে মনোজের। বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক বললেন, “ঝাড়খণ্ড বেশ ভাল দল। বেশ কিছু অভিজ্ঞ ক্রিকেটার রয়েছে ওদের। সৌরভ তিওয়ারি, ইশাঙ্ক জাগ্গি, শাহবাজ নাদিম, রাহুল শুক্লর মতো ক্রিকেটার রয়েছে। অনেকের ১০-১২ বছর খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তরুণদের মধ্যে বিরাট সিংহ, অনুকুল রায়ের মতো ক্রিকেটার রয়েছে। ভাল খেলেছে বলেই কোয়ার্টার ফাইনাল অবধি পৌঁছেছে। খুব সহজ প্রতিপক্ষ নয় ঝাড়খণ্ড।”