আইপিএল ট্রফি। —ফাইল চিত্র।
দিল্লি ধরে রাখল চার জন ক্রিকেটারকে। তারা ধরে রাখল অক্ষর পটেল, কুলদীপ যাদব, ট্রিস্টিয়ান স্টাবস এবং অভিষেক পোড়েলকে। বাংলার একমাত্র অভিষেককেই রিটেন করা হয়েছে।
পাঁচ জন ক্রিকেটারকে ধরে রাখল গুজরাত। গত বারের অধিনায়ক শুভমন গিল দলে রয়েছেন। সেই সঙ্গে রশিদ খান, সাই সুদর্শন, রাহুল তেওয়াটিয়া এবং শাহরুখ খানকে ধরে রাখল তারা।
অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে ধরে রাখল হায়দরাবাদ। সেই সঙ্গে দলে রইলেন অভিষেক শর্মা, হেনরিখ ক্লাসেন, নীতীশ কুমার রেড্ডি এবং ট্রেভিস হেড।
দুই আনক্যাপড ক্রিকেটারকে ধরে রাখল শশাঙ্ক সিংহ এবং প্রভসিমরন সিংহকে।
অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনকে ধরে রেখেছে রাজস্থান। সেই সঙ্গে যশস্বী জয়সওয়াল, শিমরন হেটমায়ার, ধ্রুব জুরেল, সন্দীপ শর্মা এবং রিয়ান পরাগকে ধরে রাখল তারা।
রাহুলকে ছেড়ে দিয়েছে লখনউ। দলে রাখা হয়েছে নিকোলাস পুরান, রবি বিশ্নোই, মায়াঙ্ক যাদব, আয়ুষ বাদোনি এবং মোহসিন খানকে।
শ্রেয়সকে ছেড়ে দিল কেকেআর। রেখে দেওয়া হয়েছে আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারাইন, রিঙ্কু সিংহ, বরুণ চক্রবর্তী, হর্ষিত রানা এবং রমনদীপ সিংহ। হর্ষিত এবং রমনদীপ আনক্যাপড হিসাবে দলে রইলেন।
চেন্নাই ধরে রাখল ধোনি, রুতুরাজ, জাডেজা, পাথিরানা এবং শিবম দুবেকে। ১৮ কোটি টাকায় রাখা হল রুতুরাজকে। একই টাকা দেওয়া হয়েছে রবীন্দ্র জাডেজাকে। ১৩ কোটি টাকা পাথিরানার জন্য।
বিরাট কোহলিকে রেখে দিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। সেই সঙ্গে রজত পাটীদার এবং যশ দয়ালকে রাখল তারা। বিরাটকে দেওয়া হয়েছে ২১ কোটি টাকা। পাটীদার পাবেন ১১ কোটি এবং দয়াল পাবেন ৫ কোটি টাকা।
যশপ্রীত বুমরা, সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পাণ্ড্য, রোহিত শর্মা এবং তিলক বর্মাকে রেখে দিল মুম্বই। বুমরাকে রেখে দেওয়া হল ১৮ কোটি টাকা দিয়ে।
শ্রেয়স আয়ার, ঋষভ পন্থ এবং লোকেশ রাহুলকে ছেড়ে দিল তাদের দল। নিলামে তিন অধিনায়ক।
৩১ অক্টোবর বিকেল ৫টার মধ্যে দলগুলিকে নাম জানানোর কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিকেল ৫.৩০টার মধ্যে তাদের নাম জানাতে হবে।
রিটেনশনের সময়ে বোর্ড পাঁচ জন ক্রিকেটারের নির্দিষ্ট দর বেঁধে দিয়েছে। পাঁচ জনের জন্য খরচ করা যাবে সর্বাধিক ৭৫ কোটি টাকা। এই পাঁচ ক্যাপড ক্রিকেটারের কে কত টাকা পাবেন তার ভাগটা এই রকম— প্রথম জনের দাম হবে ১৮ কোটি টাকা, দ্বিতীয় জনের ১৪ কোটি টাকা, তৃতীয় জনের ১১ কোটি টাকা, চতুর্থ জনের ১৮ কোটি টাকা এবং পঞ্চম জনের দাম ১৪ কোটি টাকা। প্রত্যেক আনক্যাপড ক্রিকেটার ধরে রাখার জন্য খরচ করতে হবে ৪ কোটি টাকা।
ছ’জনের মধ্যে অন্তত এক জন ক্রিকেটারকে আনক্যাপড (যিনি কখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেননি বা পাঁচ বছর আগে অবসর নিয়েছেন) হতে হবে। অন্য দিকে ক্যাপড, অর্থাৎ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা সর্বাধিক পাঁচ জন ক্রিকেটারকে দলে রাখা যাবে। কিন্তু দু’জনের বেশি আনক্যাপড ক্রিকেটারকে ধরে রাখা যাবে না।
সর্বাধিক ছ’জন ক্রিকেটারকে ধরে রাখতে পারবে দলগুলি। তবে নিলামের আগে সর্বাধিক পাঁচ জনকে ধরে রাখা যাবে। নিলামে রাইট-টু-ম্যাচ (আরটিএম) কার্ডের মাধ্যমে এক জন ক্রিকেটারকে আবার ফিরিয়ে নিতে পারবে দলগুলি। কোনও দল যদি নিলামের আগে পাঁচ জনের কম ক্রিকেটার ধরে রাখে, তা হলে আরটিএম-এর মাধ্যমে বাকি ক্রিকেটারকে ফেরাতে পারবে।