বিরাট কোহলি। ছবি: পিটিআই।
মেহেদির বলে এলবিডব্লিউ হলেন বিরাট। বল তাঁর পায়ে লাগে। আম্পায়ার আউট দেন। উল্টো দিকে থাকা শুভমনের সঙ্গে আলোচনা করার পর বিরাট সাজঘরের দিকে ফিরে যান। কিন্তু স্নিকো মিটারে দেখা যায় বল বিরাটের ব্যাটে লেগেছিল। সেটা বুঝতেই পারেননি তিনি। ফলে রিভিউ নেননি। রিভিউ নিলে আউট হতেন না বিরাট। ১৭ রান করে ফিরতে হল তাঁকে।
নাহিদ রানার বলে আউট যশস্বী জয়সওয়াল। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট ছোঁয়ালেন তরুণ ওপেনার। ব্যাটে লেগে বল চলে গেল লিটন দাসের হাতে। ভারতের দুই ওপেনারই সাজঘরে।
আরও এক বার ব্যর্থ রোহিত। তাসকিনের বলের বাউন্স আন্দাজ করতে পারেননি। সেই বল রোহিতের ব্যাটে লেগে চলে যায় স্লিপে দাঁড়ানো জাকির হাসানের হাতে। ৫ রান করে আউট রোহিত।
ভারতের থেকে ২২৭ রানে পিছিয়ে রইল বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ৩৭৬ রান তুলেছিল ভারত। ১৪৯ রানে শেষ বাংলাদেশ। ৪ উইকেট নিলেন বুমরা। দু’টি করে উইকেট নিলেন আকাশ দীপ, মহম্মদ সিরাজ এবং রবীন্দ্র জাডেজা। বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান শাকিব আল হাসানের। ৩২ রান করেন তিনি।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চতুর্থ উইকেট তুলে নিলেন বুমরা। তাসকিন আহমেদকে ইয়র্কারে বোল্ড করেন তিনি। যে গতিতে বল তাসকিনের পায়ের সামনে পড়ে তা সামলাতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটার। ৯ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ।
চা বিরতিতে যাওয়ার আগে ১১২ রানে ৮ উইকেট হারাল বাংলাদেশ। ভারত প্রথম ইনিংসে ৩৭৬ রান তোলে। সেই জবাবে ব্যাট করতে নেমে বেশ চাপে বাংলাদেশ। কোনও ব্যাটারই ভারতের বোলারদের বিরুদ্ধে টিকতে পারেননি। উইকেট নেওয়ার শুরুটা করেছিলেন বুমরা। মাঝে আকাশ দীপ এবং সিরাজ মিলে তিন উইকেট তোলেন। শাকিব এবং লিটন মিলে ৫১ রানের জুটি গড়েছিলেন। তাঁদের আউট করেন জাডেজা।
আরও একটি উইকেট তুললেন বুমরা। আউট হাসান মাহমুদ। চা বিরতির আগে উইকেট নেওয়ার জন্য মরিয়া ছিল ভারত। সেই কারণেই বুমরার হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন রোহিত। সেই কাজটা করে দিলেন বুমরা। অধিনায়কের দরকারে কখনও হতাশ করেননি ভারতীয় পেসার। ৯ রান করে বোল্ড আউট হাসান।
লিটন আউট হওয়ার পর বাংলাদেশের আশা ছিলেন শাকিব। তাঁর ব্যাটেই ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছিলেন সমর্থকেরা। কিন্তু জাডেজার বল শাকিবের ব্যাটে লেগে জুতোর উপর ড্রপ খেয়ে উঠে যায়। বল ধরে নেন ঋষভ পন্থ। ৩২ রানে শেষ শাকিবের ইনিংস।
আউট লিটন দাস। রবীন্দ্র জাডেজার বলে বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হলেন তিনি। ৪২ বলে ২২ রান করেন লিটন। তাঁর সঙ্গে শাকিব আল হাসানের ৫১ রানের জুটি ভেঙে গেল।
বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটারকে আউট করলেন বুমরা। ভারতীয় পেসারের বলে অফ স্টাম্পের বাইরে ব্যাট ছোঁয়ালেন মুশফিকুর। বল জমা পড়ল লোকেশ রাহুলের হাতে। ৮ রান করে আউট বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের অধিনায়ক শান্ত আউট। সিরাজের বলে খোঁচা দিলেন তিনি। বাইরের দিকে যাওয়া বল ব্যাটে লেগে চলে যায় বিরাট কোহলির নিরাপদ হাতে। ৩০ বলে ২০ রান করে আউট শান্ত।
দ্বিতীয় দিনে মধ্যাহ্নভোজে দুই দল। ভারত দিনের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে শেষ হয়ে যায় ৩৭৬ রানে। সকালে ৪ উইকেট হারায় তারা। তিনটি নেন তাসকিন আহমেদ এবং একটি নেন হাসান মাহমুদ। বাংলাদেশ ২৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়েছে। একটি নিয়েছেন বুমরা এবং বাকি দু’টি আকাশ দীপ।
প্রথমে জাকির তার পর মমিনুল, পর পর দু’বলে দু’উইকেট তুলে নিলেন আকাশ দীপ। হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি হয়েছিল কিন্তু মুশফিকুর তা হতে দেননি। ভারতের ৩৭৬ রান মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ২২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ। ভারতীয় বোলারেরা চেপে বসছেন মুশফিকুরদের উপর।
জাকিরের মিডল স্টাম্প ছিটকে দিলেন আকাশ। ব্যাট এবং পায়ের মাঝ খান দিয়ে বল ঢুকে উইকেট ভেঙে দিল। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই উইকেট তুলে নিলেন আকাশ।
ব্যাট হাতে ১১৩ রান করা অশ্বিনের হাতে বল তুলে দিলেন রোহিত। বাংলাদেশের ইনিংসে মাত্র ৭ ওভার খেলা হয়েছে। বল করছেন অশ্বিন। যে পিচে বাংলাদেশের পেসারেরা দাপট দেখালেন, সেখানে দ্রুত স্পিন আক্রমণে ভারত। মধ্যাহ্নভোজের আগে আরও উইকেট চাইছেন রোহিত শর্মারা। সেই কারণেই অভিজ্ঞ অশ্বিনের হাতে নতুন বল তুলে দেওয়া হয়েছে। আকাশ দীপ বল করছেন অন্য প্রান্ত থেকে।
প্রথম ওভারেই উইকেট তুলে নিলেন বুমরা। বাংলাদেশের ওপেনার শাদমান ইসলামকে বোল্ড করেন তিনি। বাঁহাতি ব্যাটারকে ওভারের প্রথম পাঁচটি বল রাউন্ড দ্য উইকেট করেছিলেন বুমরা। শেষ বলটি করেন আরাউন্ড দ্য উইকেট। তাতেই আউট শাদমান। বুঝতেই পারেননি বুমরার বলের লাইন। ছেড়ে দিয়েছিলেন বলটি। উইকেট ভেঙে দেয় সেই বল। ২ রান করে আউট শাদমান।
হাসান মাহমুদের বলে যশপ্রীত বুমরা আউট হতেই শেষ ভারতের ইনিংস। ৩৭৬ রান তুলল ভারত। ১১৩ রান করেন অশ্বিন। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে এক ঘণ্টার মধ্যে শেষ ভারতের ইনিংস। দ্বিতীয় দিনে কোনও রান করতে পারেননি জাডেজা। ৮৬ রানে আউট হন তিনি। আকাশ দীপ করেন ১৭ রান।
বাংলাদেশের হয়ে ৫ উইকেট নিলেন মাহমুদ। তাসকিন নিলেন ৩ উইকেট। একটি করে উইকেট নেন নাহিদ রানা এবং মেহেদি হাসান মিরাজ।
১১৩ রান করে ফিরলেন অশ্বিন। তাসকিনের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আগে ব্যাট চালিয়ে ফেলেন। বলে চলে যায় মিড অফের দিকে। পিছন দিকে দৌড়ে ক্যাচ ধরেন শান্ত।
বড় শট খেলতে গিয়েই আউট হলেন আকাশ। ১৭ করে আউট হলেন তিনি। তাসকিনের বলে অধিনায়ক শান্তর হাতে ক্যাচ তুলে দেন আকাশ।