গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
কানপুরে ভারত-বাংলাদেশ টেস্ট ম্যাচ ঘিরে অশান্তির হুমকি ছিলই। সে জন্য আগে থেকেই কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিল পুলিশ। বাংলাদেশ দলের জন্যও রয়েছে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা। কিন্তু শুধু পুলিশি ব্যবস্থা করেই নিশ্চিত হতে পারেননি উত্তরপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারা। ব্যবস্থা করতে হয়েছে হনুমানেরও।
বিস্ময়কর মনে হলেও এটাই সত্যি। কানপুরে বাঁদরের উপদ্রব দীর্ঘ দিনের। বিশেষ করে স্টেডিয়াম এলাকায় একটু বেশিই। কারও হাতে খাবার দেখলেই ঝঁপিয়ে পড়ে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে বাঁদরের দল। তাদের হাতে আক্রান্ত হতে পারেন দর্শক, ক্রিকেটার বা খেলা সম্প্রচারকারী সংস্থার কর্মীরা। বাঁদরের উৎপাত ঠেকাতেই স্টেডিয়ামে মোতায়েন করা হয়েছে হনুমান। যেমন-তেমন নয়। বাঁদরের উৎপাত ঠেকাতে আনা হয়েছে প্রশিক্ষিত হনুমান।
গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামের ভেন্যু ডিরেক্টর সঞ্জয় কপূর বলেছেন, ‘‘এখানে বাঁদরের উৎপাত আতঙ্কের জায়গায় চলে গিয়েছে। সে জন্য হনুমান ভাড়া করে আনা হয়েছে।’’ বিশেষ করে সম্প্রচারকারী সংস্থার যে চিত্রগ্রাহকেরা স্টেডিয়ামের বিভিন্ন জায়গায় একা কাজ করেন, তাঁদের বেশি সমস্যায় পড়তে হয়। বাঁদরের উৎপাতে খেতে তো পারেনই না। শুধু তাই নয়, নিজেদের কাজও ঠিক ভাবে করতে পারেন না। এই সমস্যা সমাধানের জন্য প্রশিক্ষিত হনুমানদের রাখা হয়েছে। তাদের সঙ্গে রয়েছেন প্রশিক্ষকেরাও।
উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বেশ কিছু জায়গায় এই পদ্ধতি অত্যন্ত পরিচিত। বাঁদরদের উৎপাত রুখতে হনুমান মোতায়েন করা হয় বিভিন্ন সরকারি দফতর বা ভবনেও। বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও দেখা যায় প্রহরারত হনুমানদের।