২০১৮ সাল থেকে নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেন রিঙ্কু। —ফাইল চিত্র
কলকাতায় রিঙ্কু সিংহ। আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলা ব্যাটার বৃহস্পতিবার ইডেনে এসেছিলেন তরুণ ক্রিকেটারদের উৎসাহ দিতে। ইডেনের ইন্ডোরে একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটারকে পরামর্শ দিলেন তিনি। সেই সঙ্গে তাঁর উত্থানের কাহিনি শোনালেন আনন্দবাজার অনলাইনকে।
২০১৮ সাল থেকে নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেন রিঙ্কু। ২০২২ সালেই তিনি সব থেকে বেশি ম্যাচ খেলেন নাইটদের হয়ে। সাতটি ম্যাচ খেলেন তিনি। করেন ১৭৪ রান। এর আগে তিন বছরে মাত্র ১০টি ম্যাচ খেলে তিনি করেছিলেন ৭৭ রান। তাঁর এই উত্থানের পিছনে কী ধরনের পরিশ্রম রয়েছে? রিঙ্কু বললেন, “আমি আলাদা কিছু করার চেষ্টা করিনি। হাঁটুতে একটা চোট ছিল আমার। সেটা বেশ কিছু দিন ভুগিয়েছে। কিন্তু সেই সময়টাতেই আমি অনেক কিছু শিখেছি। কঠিন সময়টা দেখেছি। আইপিএলের আগের সাত মাসে প্রচুর পরিশ্রম করেছি। রাজ্যের হয়ে খেলতে নেমেও রান পেয়েছি। আইপিএলেও পেয়েছি।”
উত্তরপ্রদেশের রিঙ্কু বাঁহাতে ব্যাট করেন। অফ ব্রেক বলও করতে পারেন। কিন্তু যে পরিবার থেকে উঠে এসেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার, সেখানে ক্রিকেট খেলাটাই একটা যুদ্ধ ছিল। আইপিএলে দল পাওয়া তো সোনার পাথরবাটি। রিঙ্কুর বাবা খানচাঁদ সিংহ গ্যাসের সিলিন্ডার বিলি করতেন। লখনউয়ে দু’টি ঘরে চার ভাই-বোন এবং মা-বাবাকে নিয়ে রিঙ্কুর সংসার। দু’বেলা ঠিক মতো খাবার জুটত না। রিঙ্কুর দাদা ক্রিকেট খেলার স্বপ্ন দেখা ভাইকে এক জায়গায় ঝাড়ুদারের কাজে ঢুকিয়ে দেন। রিঙ্কু যদিও দমে যাননি। তিনি ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যান। মাত্র ১৭ বছর বয়সে সুযোগ পেয়ে যান উত্তরপ্রদেশের রাজ্য দলে। লিস্ট এ ম্যাচ খেলেন তাঁর রাজ্যের হয়ে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আবির্ভাব ২০১৬ সালে।
অনুশীলনে রিঙ্কু সিংহ। —ফাইল চিত্র
রিঙ্কু বার বার আলোচনায় এসেছেন তাঁর ফিল্ডিংয়ের জন্য। গত পাঁচ বছরে একাধিক ম্যাচে ফিল্ডিং করেছেন রিঙ্কু। দুর্দান্ত সব ক্যাচ নিয়েছেন। নজর কেড়েছেন। প্রশংসিত হয়েছেন। কিন্তু ম্যাচ প্রায় খেলেননি (এই মরসুম বাদে) বললেই চলে। আসলে কোটিপতি লিগে তাঁর সমসাময়িক ক্রিকেটাররা যখন অধিনায়ক হয়ে গিয়েছেন, রিঙ্কু শুধু ফিল্ডিং করেছেন। নিজের ফিল্ডিং সম্পর্কে রিঙ্কু বললেন, “আমি ফিল্ডিংটা খুব উপভোগ করি। যত বেশি উপভোগ করবে, তত ভাল ফিল্ডিং করা সম্ভব। আমি সেটাই করার চেষ্টা করি।”