মুম্বই ছাড়ছেন সচিন-তনয়। ফাইল ছবি
বাংলার ক্রিকেটের ছায়া এ বার মুম্বইয়েও। ঋদ্ধিমান সাহা, সুদীপ চট্টোপাধ্যায় যেমন বাংলা ছেড়ে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন, সেরকমই খালি হচ্ছে মুম্বইও। খোদ সচিন তেন্ডুলকরের ছেলে অর্জুন মুম্বই ছাড়ছেন। আসন্ন মরসুমে তিনি খেলতে পারেন গোয়ার হয়ে। ইতিমধ্যেই এনওসি চেয়েছেন তিনি।
শিবাজি পার্কের ময়দানে ক্রিকেট খেলা শুরু করেছিলেন সচিন তেণ্ডুলকর। ঘরোয়া ক্রিকেটে আজীবন খেলেছেন মুম্বইয়ের হয়ে। রঞ্জি ট্রফি-সহ অন্যান্য ট্রফি জিতেছেন। কোনও দিন রাজ্য ছাড়ার কথা ভাবতেও পারেননি। তাঁরই ছেলে অর্জুন কেন মুম্বই ছাড়তে চাইছেন?
মূল কারণ হল, মুম্বই দলের হয়ে যথেষ্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ না পাওয়া। ২০২০-২১ মরসুমে মুম্বইয়ের হয়ে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে দু’টি ম্যাচ খেলেন হরিয়ানা এবং পুদুচ্চেরির বিরুদ্ধে। ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে বছর তিনেক আগে দু’টি বেসরকারি টেস্ট খেলেছেন তিনি। এ বারও তিনি সাদা বলের ঘরোয়া ক্রিকেটে মুম্বইয়ের সম্ভাব্য ক্রিকেটারদের তালিকায় রয়েছেন। তবে কোনও সুযোগ না দিয়ে বার বার তাঁকে বাদ দেওয়া মেনে নিতে পারছেন না সচিন-পুত্র।
যে সংস্থা অর্জুনের ক্রিকেটীয় ব্যাপার দেখে, সেই এসআরটি স্পোর্টস ম্যানেজমেন্টের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কেরিয়ারের এই সময়ে অর্জুনের জন্য বেশি ম্যাচ খেলা খুবই দরকার। আশা করি অন্য রাজ্য সংস্থার হয়ে বেশি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে খেলতে পারবে অর্জুন। কেরিয়ারের নতুন পর্যায়ে পাড়ি দিতে চলেছে।’
গত তিন বছর ধরে আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলের সঙ্গে রয়েছেন অর্জুন। প্রথম বার নেট বোলার হিসাবে এবং বাকি দু’বার ২০ লাখ ও ৩০ লাখ টাকায় কেনা হয় তাঁকে। সম্প্রতি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে ইংল্যান্ডে যান।
গোয়া ক্রিকেট সংস্থার এক বর্ষীয়ান কর্তা সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, “বাঁ হাতি বোলার নেওয়ার ব্যাপারে আমরা অনেক দিন ধরেই চিন্তাভাবনা করছি। সে কারণেই অর্জুনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। সাদা বলের ক্রিকেটে বেশ কিছু প্রাক্-মরসুম প্রস্তুতি ম্যাচ খেলব। সেই ম্যাচগুলোতে ও খেলবে। তার পরে নির্বাচকরা সিদ্ধান্ত নেবেন।”
এ বারই বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরার হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঋদ্ধিমান এবং সুদীপ। নতুন রাজ্য দলের হয়ে সইও করে দিয়েছেন তাঁরা। অতীতে মুম্বইয়ে সুযোগ না পেয়ে বাংলার হয়ে খেলেছেন সুনীল গাওস্করের ছেলে রোহন। গোয়া দলের হয়ে এর আগে খেলতে দেখা গিয়েছে মহম্মদ আজহারউদ্দিনের ছেলে মহম্মদ আসাদউদ্দিনকেও।