(বাঁ দিকে) আইপিএলে চুমু ছুড়েছিলেন কেকেআরের হর্ষিত, সেই একই কাজ দলীপে করলেন তিনি (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
শাস্তির পরেও বদলালেন না হর্ষিত রানা। আইপিএলে উইকেট নিয়ে ব্যাটারকে চুমু ছুড়ে শাস্তি পেয়েছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের বোলার। এক ম্যাচে নির্বাসিত করা হয়েছিল তাঁকে। তার পরেও দলীপ ট্রফিতেও সেই একই কাজ করতে দেখা গেল তাঁকে।
দলীপে ভারত ডি-র হয়ে খেলছেন হর্ষিত। প্রথম দিন ভারত সি-র বিরুদ্ধে ভাল বল করেন তিনি। প্রথম চার ওভারে কোন রান না দিয়েই ২ উইকেট নেন তিনি। প্রথমে সাই সুদর্শনকে আউট করেন তিনি। পরে ভারত সি-র অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়কে ৫ রানে ফেরান হর্ষিত। তার পরেই দেখা যায়, রুতুরাজ যাওয়ার সময় চুমু ছুড়ছেন হর্ষিত। তাতে অবশ্য রুতুরাজ বিরক্ত হননি।
আইপিএলের গত মরসুমে একই কাজ করতে দেখা গিয়েছিল কেকেআরের পেসারকে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ব্যাটার মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে আউট করে তাঁর উদ্দেশে চুমু ছুড়েছিলেন হর্ষিত। ব্যাপারটি ভাল ভাবে নেননি মায়াঙ্ক। তার পরেই হর্ষিতকে শাস্তি পেতে হয়। এক ম্যাচ নির্বাসিত করা হয় তাঁকে। তাতে অবশ্য তাঁর খেলার মানসিকতা বদলাবে না বলে জানিয়েছিলেন হর্ষিত।
আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে একটি সাক্ষাৎকারে হর্ষিত বলেছিলেন, “এটাই আমার খেলার ধরন। আমি এ ভাবেই বরাবর খেলে এসেছি। মাঠের বাইরে অনেক মজা করি। কিন্তু খেলতে নামার পর আমি কাউকে এক ইঞ্চি জায়গাও দিই না। আমি তো আর মাঠে বন্ধুত্ব করতে আসিনি। প্রথম ওভারে ১৬ রান দিয়েছিলাম। ছক্কা খেলে তো আর হাসব না। আত্মসম্মানে ধাক্কা লাগে। পরের ওভারে উইকেট নিয়ে তাই উল্লাস করেছিলাম। সেই কারণে শাস্তি পেয়েছি। কিন্তু আমার ধরন বদলাবে না। এর পরেও করব।”
আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে মাঠে কেকেআরের মালিক শাহরুখ খানকে দেখা যায় হর্ষিতের মতো চুমু ছুড়ে উল্লাস করছেন। পরে ট্রফি জিতে গোটা দল ওই কায়দায় উল্লাস করে। নির্বাসিত হওয়ার পরে শাহরুখ তাঁর সঙ্গে কথা বলেছিলেন বলে জানিয়েছিলেন হর্ষিত। তিনি বলেছিলেন, “নির্বাসিত হওয়ার পরে দুঃখ পেয়েছিলাম। সেই সময় শাহরুখ ভাই আমাকে এসে বলেছিল, চিন্তা কোরো নায় ট্রফি জিতে সবাই এই ভাবে উল্লাস করব। শাহরুখ ভাই নিজের কথা রেখেছে।” আরও এক বার সেই একই কাজ করলেন কেকেআরের পেসার।